1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা সংকট অবসানে ইন্দোনেশিয়ার অব্যাহত সহযোগিতা কামনা রাষ্ট্রপতির

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
  • ৩৪ Time View

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্যাদাসহ তাদের স্বদেশ ভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া সরকারের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নৈশভোজের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সফররত প্রেসিডেন্ট জোকো ভিদোদোর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে এ কথা জানান।
নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্্হাব মিঞা, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বেশ কযেকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, বহু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শুধু মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘে ভূমিকা পালনসহ ইন্দোনেশিয়ার মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দোনেশীয় জনগণের সমর্থন এবং ১৯৭২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা স্মরণ করেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জনক ড. সুকর্নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
দু’দেশের মধ্যে খুবই চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে অভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল্যবোধের অংশীদার। আগামী দিনগুলোতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দীর্ঘ বিরতির পর প্রেসিডেন্ট ভিদোদো’র ঢাকা আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সফরের ফলে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দিগন্তের সূচনা এবং বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার হবে।
রাষ্ট্রপতি ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার দূর করে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের বাছাই করা পণ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট ভিদোদো’র প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশকে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, সিরামিক, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মৎস্য ও হ্যান্ডিক্রাফটস-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদনকারী হিসেবে উল্লেখ করে এসব পণ্য ইন্দোনেশিয়ার বাজারে রফতানি হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এসব পণ্য ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং অন্যান্য দেশে রফতানি হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্যাদাসহ তাদের স্বদেশ ভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার ফার্স্ট লেডি ইরিনা জোকো ভিদিদো রাষ্ট্রপতি হামিদের পতœী রাশিদা খানমের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আবদুল হামিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জোকো ভিদিদো ও ফার্স্ট লেডি ইরিনা ভিদিদো বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর পতœী রাশিদা খানম তাদের স্বাগত জানান।
সাক্ষাৎ শেষে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সফরসঙ্গীরা রাষ্ট্রপতি হামিদ আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ