প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে সেনাবাহিনী চাওয়া আমাদের ঠিক ছিল না। তাছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনী না দেওয়ায় সংবিধান লংঘন হয়েছে কিনা সেটা তথ্যগত ব্যাপার।’
সোমবার দুপুরে বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে যাওয়ার পথে যাত্রাবিরতিতে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তবে তথ্যগত ব্যপারটি কি জানতে চাইলে তা কৌশলে এড়িয়ে যান সিইসি।
এ সময় তার আমলে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব মাত্র ১ শতাংশ। বাকী দায়িত্ব রাজনৈতিক দল, সাধারণ ভোটার ও মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকলের। কিন্তু যার যেটা করা দরকার সেটা না করায় নির্বাচন কমিশন হতাশ।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল থেকে যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া দরকার নির্বাচন কমিশন তা পায় না। আর এ কারণেই সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনে নানা রকমের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় নির্বাচন কমিশনকে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সংসদে পাশ করা আইনে বলা আছে- এটা নির্দলীয় নির্বাচন। এখানে দলীয় কথা বললে হবে না। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নির্দলীয়, তাই কোন দল নির্বাচনে এলো আর কোন দল এলো না তা বিবেচ্য বিষয় নয়।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারাও বিভাজিত দলীয় ভিত্তিতে।’
পাল্টা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমার দেশ আর ডেইলি স্টার কি এক জিনিস?’
তিনি বলেন, ‘আপনারা রাজনৈতিক দলের কথা থেকে কথা বলছেন। জনগনের কথা বলছেন না। এটা কি যথেষ্ঠ হচ্ছে?’
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘যেখানে শতকরা ৭৯ ভাগ মানুষ বলছে সবকিছু ঠিক আছে সেখানে ৩১ শতাংশ লোক নির্বাচন কমিশনকে ভাল বলছে না। তাহলে জনগণ কি চায় সেটা আপনাদের ভেবে দেখতে হবে।’
এ সময় তার সাথে ছিলেন পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সর্দার শাহআলম, পুলিশ সুপার মোঃ আজাদ মিয়াসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্তা ব্যক্তিরা।