খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ ছিলো না বলেই দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সুযোগ পেয়েছিল।
শনিবার বিকেলে ঢাকার দোহারে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ভূমি নিবন্ধন মহাপরিচালক (আইজিআর) খান আব্দুল মান্নান। এতে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আল আমীন, যুদ্ধকালীন তিন থানার কমান্ডার ডা. আবুল কালাম, ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি আবু সাইদ, দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব আলী মোল্লা, ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আযম বারকু, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করতে চাই না। আবেদন অনুযায়ী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। আমরা চাই এতে স্বচ্ছ ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা তৈরী হবে। কোন মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে এ কার্যক্রম নয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, যাচাই বাছাই কালে কোন অনিয়মকে ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে তাদের সঠিক নিবন্ধন করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার প্রকৃত তালিকা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এতে কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার স্থান হবে না।