1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে আর্কাইভ করার দাবি

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭
  • ১২৬ Time View

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় পাবনার মেয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের তৃতীয় প্রয়াণ দিবস পালন করেছেন মহানায়িকার ভক্ত অনুরাগী এবং সংস্কৃতিসেবীরা। আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ মহানায়িকার শিশু বয়সের স্কুল মহাকালি পাঠশালা যেটি বর্তমানে পাবনা টাউন গার্লস হাইস্কুল নামে পরিচিত, সেখানে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, আড়াই বছর হলো সুচিত্রা সেনের পৈতৃক নিবাসটি জেলা প্রশাসন উদ্ধার করেছে। কিন্তু আজও সেখানে কোনো কিছু করা হয়নি। তারা ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িটি দ্রুত সংস্কার করে তার নামে আর্কাইভ বা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণাগার তৈরি করার দাবি জানান তারা।

সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. রামদুলাল ভৌমিক, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. একেএম শওকত আলী খান, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, কৃষিবিদ জাফর সাদেক, পাবনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকী ও আখতারুজ্জামান আখতার, সম্পাদক আঁখিনুর ইসলাম রেমন, সাবেক সম্পাদক আহমেদ-উল-হক রানা, নরেশ মধু, পাবনা টাউন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম প্রমুখ।

এছাড়া পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।

প্রসঙ্গত, মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনা শহরের গোপালপুর মৌজার হেমসাগর লেনে। তার বাবা চাকরি করতেন পাবনা পৌরসভায়। তিনি ছিলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। সুচিত্রা সেন প্রথমে পাবনার মহাকালি পাঠশালায় এবং পরে পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তেন। দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার বিয়ে হলে তিনি ভারত যান।

পরে দেশ ভাগ হলে তার পরিবার ১৯৫০ সালে ভারত চলে যায়। মহানায়িকার বাড়িটি রাজনৈতিক দল জামায়াত পরিচালিত একটি স্কুলের নামে দীর্ঘদিন লিজ দেয়া ছিল। পাবনাবাসীর আন্দোলনের মুখে আড়াই বছর আগে বাড়িটি দখলমুক্ত হলে সেখানে মহানায়িকার স্মৃতি কেন্দ্র বা সংগ্রহশালা করার পরিকল্পনা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখনো তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। শিগগিরই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটাই প্রত্যাশা পাবনাবাসীর।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ