রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার বহু কাঙ্ক্ষিত প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছে।
আল্লাহ পাকের অশেষ মহিমায় আবেগ-অপ্লুত লাখো মুসল্লির কণ্ঠে উচ্চারিত ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনিতে আজ আখেরি মোনাজাতে মুখরিত হয়ে উঠবে তুরাগ তীরসহ আশেপাশের এলাকা।
পাবলিক পরিবহন বন্ধ থাকায় অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণে ব্যাকুল হয়ে উঠতে ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে সকাল থেকেই পায়ে হেঁটেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মহাখালী, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে দলবেঁধে তারা ছুটিছেন কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। এতে করে সব স্রোত যেন মিলেছে ইজতেমার পথে।
দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি কামনার পাশাপাশি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি, সংহতি, অগ্রগতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ প্রার্থনা করা হবে।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্বের আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে রোববার ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ছয়টি পয়েন্টে আছে রোড ডাইভারশন।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় বেলা ১১ টা থেকে সোয়া ১১ টার মধ্যে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে যাচ্ছেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত বাসে চড়ে এসেছি। এরপর থেকে যানচলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেটেই ইজতেমার দিকে যাচ্ছি। রাস্তায় যেতে যেতে যেখানেই মোনাজাত শুরু হবে সেখানেই বসে অংশ নিবো।
রোববার বিমানের অপারেশন্স ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যাবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত ৫২তম বিশ্ব ইজতেমায় এবারের প্রথম পর্বে ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ২০ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে একই বছর দুইবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে নিয়মিত দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে।