1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

আজ পৌষ সংক্রান্তি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭
  • ৪০ Time View

বাংলা বর্ষ পঞ্জিকার মাঘ মাসের প্রথম দিনটিকে বলা হয় পৌষ সংক্রান্তি। তবে সনাতন ধর্মালম্বীরা পৌষ মাসের শেষ দিনটিকে  পৌষ সংক্রান্তি হিসেবে পালন করে থাকে। এ দিনটিকে সামনে রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকায় চলে ঘুড়ি উৎসব। গ্রামাঞ্চলে চলে পিঠাপুলির অায়োজন। আগে এ উৎসবটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে পুরান ঢাকায় সাড়ম্বরে পালিত হয়। উৎসবে অংশ নেন সব ধর্মের সব বয়সী মানুষ।

পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া, মুরগীটোলা, ধুপখোলা, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, কাগজিটোলা, বাংলাবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কলকতাবাজার, ধোলাই খাল, নারিন্দা, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতী বাজার, সদরঘাট এবং লালবাগ এলাকার মানুষ এ উৎসবে দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়ান। আয়োজন করেন নানা খাবারের। এছাড়া সন্ধ্যায় আগুন নিয়ে খেলা, আতশবাজী ফোটানো এ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ।

সকাল থেকেই ছাদে ছাদে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো। ছোট বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে উৎসবের রঙ। আর আকাশে বাড়বে ঘুড়ির সংখ্যা। সকালের তুলনায় বিকেল উৎসব পরিপূর্ণতা লাভ করে। ছাদে চলে গানবাজনা আর খাওয়া-দাওয়া। সে সঙ্গে আনন্দ আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দেয় ঘুড়ির কাটাকাটি খেলা। এছাড়া ঘরে ঘরে তৈরি হয় মুড়ির মোয়া, বাখরখানি আর পিঠা বানানোর ধুম।

বর্তমানে এ উৎসবে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। অর্থাৎ সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় আতশবাজী ও ফানুস উড়ানো। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব এলাকায় চলে আতশবাজীর খেলা। সাকরাইনে পুরান ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইদের নাটাই, বাহারি ঘুড়ি উপহার দেওয়া এবং পিঠার ডালা পাঠানো একটি অবশ্য পালনীয় অঙ্গ। ডালা হিসেবে আসা ঘুড়ি, পিঠা আর অন্যান্য খাবার বিলি করা হয় আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়ার লোকদের মধ্যে।

উৎসবকে মাথায় রেখে টানা এক সপ্তাহ পুরান ঢাকার অধিকাংশ গলিতে আর খোলা ছাদে থাকে সুতা মাঞ্জা দেওয়ার ধুম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ