1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে ফের চালু হচ্ছে হলিডে মার্কেট

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭
  • ৫৮ Time View

রাজধানীতে ফের চালু হচ্ছে হলিডে বা ছুটির দিনের মার্কেট। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার মার্কেটগুলো চালু থাকবে।

এ ব্যবস্থা চালু হলে রাজধানীবাসী সপ্তাহের এই দুইদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা পাবেন। মার্কেটগুলোতে কাপড়, প্রসাধনী, জুতা, গৃহস্থালি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সুলভমূল্যে পাওয়া যাবে। এতে বেশি উপকৃত হবেন নগরীর নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষেরা।

সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, প্রায় দেড়কোটি রাজধানীবাসীর কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশেই সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিঠিতে নগরবাসীর জন্য সুবিধাজনক স্থান বেছে নিতে বলা হয়েছে। মূলত: হকারদের ব্যবসাকে সুনির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে ফেরাতে এসব মার্কেট পুনরায় চালুর চিন্তা নিয়েছে সরকার। এর আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হলিডে মার্কেট চালু ছিলো।

মার্কেটগুলো হচ্ছে- মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে ফুটপাতের উভয় পাশে আডিয়াল স্কুল থেকে এজিবি কলোনি মার্কেট পর্যন্ত ফুটপাতের অংশ, যার দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ চার ফুট। বায়তুল মোকাররম লিংক রোড। এর জায়গা হচ্ছে মার্কেটের উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণের জিপিও গেট পর্যন্ত বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট এবং প্রস্থ চার ফুট। দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার সাধারণ বীমা কার পার্কিং থেকে ইউনুছ সেন্টার পর্যন্ত। এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট। নবাবপুর রোডের কাপ্তান বাজার মোড় থেকে রায় সাহেব বাজার মোড়। এর দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ফুট এবং প্রস্থ চার ফুট। সেগুন বাগিচা এলাকার কার্পেট গলি থেকে রাজস্ব ভবন রোড পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম অংশ। এর দৈর্ঘ্য ৮০০ ফুট এবং প্রস্থ চার ফুট।

এসব মার্কেট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। নির্ধারিত সময়ের পর দোকানিদের নিজ দায়িত্বে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে। এমন তথ্য দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। চলতি বছরের শুরুতেই মার্কেটগুলো পুরোদমে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি পাওয়ার পর স্থান নির্ধারণে জরিপ করে সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি শাখা। তারা প্রাথমিক অবস্থায় ১৬টির মতো স্থান নির্ধারণ করে। এর মধ্যে এ পাঁচটি স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) এ নিয়ে বৈঠকে বসবে নগরভনের কর্মকর্তারা।

এ পাঁচটি স্থান ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি স্থান তালিকায় রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের। সেগুলো হচ্ছে গুলিস্তান এলাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ লিংক রোড, শাহবাগ থানার উত্তর পাশের রাস্তার ফুটপাথের অংশ, দোয়েল চত্বরের পূর্বপাশে ফুটপাথের অংশ, নিউমার্কেটের পূর্বপাশের ফুটপাথ ও গাউছিয়া মার্কেটের পশ্চিমপাশের খালি জায়গা, মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তরপাশের খালি জায়গা, মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের পশ্চিম-দক্ষিণে পরিত্যক্ত রাস্তা, জিপিওর দক্ষিণ পাশের ফুটপাথের অংশ, খিলগাঁও জোড়পুকুর খেলার মাঠের পশ্চিমপাশের রাস্তার পরিত্যক্ত অংশ, আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের উত্তরপাশের ফুটপাথের অংশ, ইডেন কলেজের পশ্চিমপাশের সরকারি অফিসার্স স্টাফ কোয়ার্টারের পূর্বপাশের ফুটপাথের অংশ, সিমসন রোডের মাথা থেকে পশ্চিমদিকে ওয়াইজঘাট পর্যন্ত রাস্তার পরিত্যক্ত অংশ, যাত্রাবাড়ী মোড় পার্কের সামনের ফুটপাথ, ধলপুর সিটি কর্পোরেশন স্টাফ কোয়ার্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ও ১০ নং আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন মানিকনগর রোডের দক্ষিণ পাশ।

এর আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হকার পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে হলিডে মার্কেট চালু করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। তখন পাঁচটি নির্দিষ্ট স্থানে ছুটির দিনে হকারদের বসার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। কিন্তু সে সরকারের শেষের দিকে হলিডে মার্কেটের নিয়মকানুন অনেকটা ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে আস্তে আস্তে হকাররা পুরো নগরীর ফুটপাত দখল করে ব্যবসা শুরু করতে থাকে।

ডিএসসিসির জরিপ মতে- শুধু রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায়ই আড়াই হাজারের মতো হকার রয়েছে। এসব হকার নিয়ে প্রতিনিয়ত বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংস্থাটি। বিভিন্ন সময় তাদের পূর্বাসনের কথাও বলে আসছে সিটি কর্পোরেশন। সর্বশেষ গুলিস্তান পার্কে তাদের দোকান করার জন্য সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু গণমাধ্যম ও পরিবেশবাদীদের তীব্র সমালোচনা মুখে সে সিদ্বান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় সিটি কর্পোরেশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ফুটপাত দখলমুক্ত করে হকারদের একটি শৃঙ্খলার মধ্যে ফেরাতে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মাধ্যমে খুব কম টাকায় নিম্ন ও মধ্যনিম্নবিত্তরা তাদের দৈনিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ