1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব কেড়ে নেওয়ার দাবি কামরুলের

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ১৭২ Time View

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে মক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি জানান।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে ১ ডিসেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালনের আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালেক মিয়াসহ অন্যরা।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একাত্তরের ঘাতকদের ক্ষমতায় বসানো, গোলাম আযমকে ফিরিয়ে এনে নানা কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে জিয়া পাকিস্তানের পরাজিত শক্তিকে পুনরায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ করে বীরউত্তম খেতাব অর্জন করলেও পঁচাত্তর পরবর্তী এসব কর্মকাণ্ডের কারণে মেজর জিয়ার এই রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়া হোক।’

মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনৈক্যের কারণেই জাতির জনককে হারাতে হয়েছে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের (মুক্তিযোদ্ধা) মধ্যে অনৈক্যের কারণেই একাত্তরের ঘাতকরা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল। আর এ কাজে তারা মুক্তিযোদ্ধা নামধারী জিয়াউর রহমানকে ব্যবহার করেছিল।

পঁচাত্তর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সেই এক শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা এখনও চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের মূল টার্গেট শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়া। তাই দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হবে আমাদের ঐক্যের ভিত্তি। আর শেখ হাসিনা হবেন তার প্রতীক।

মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে মাত্র নয় মাসে। কিন্তু সেই যেুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা এখনও রয়ে গেছে। তারা যতদিন থাকবে, এ যুদ্ধের শেষ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় সরকার ক্ষমতায় ছিল না। এ সময় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিকাশ ঘটেছে। তারাই নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমানেই তারা আবার মাথা চাড়া দিয়েছে উঠার চেষ্টা করছে। এজন্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে এখন থেকেই তাদের রুখতে প্রস্তুতি নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ