1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

আহসানউল্লাহর শিক্ষক ফেরদৌসের বিচার শুরু

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬
  • ১২৮ Time View

21ছাত্রীদের যৌন হয়রানি অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) শিক্ষক মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষীর জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

এর আগে, ২৭ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। বাদিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান মোল্লা মামলার দায় থেকে অব্যাহিত চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৪ মে রাতে কলাবাগান থানায় শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদদৌল্লাহ আল সায়েম। ওই দিনই কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। অপরদিকে, ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন শিক্ষক ফেরদৌস।

ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন হয়রানি, নগ্ন সেলফি প্রকাশ, ধর্ষণ চেষ্টা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক আফরোজা আইরীন কলি। যৌন হয়রানির শিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীসহ মোট ২৮ জনকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক ফেরদৌস আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি ও প্রশ্নপত্র এবং ভাইভায় নম্বর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করে। এক ছাত্রীর সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজ বাসস্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা এবং তার নগ্ন ছবি ওয়েবসাইট ও মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ