1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন

জাংক ফুড: মিথ্যা তথ্য দেয় কেএফসি সহ বড় কোম্পানিগুলো

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২
  • ১১৭ Time View

বড় বড় ফাস্ট ফুড তথা খাদ্য ও পানীয় কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি পণ্য সম্পর্কে ভোক্তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে।

সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) একথা বলেছে। সিএসই’র মতে- বেশ কিছু নামী কোম্পানি তাদের তৈরি খাদ্য ও পানীয়কে ০% চর্বি (ট্রান্স-ফ্যাট বা অপরিনিষিক্ত চর্বি) সমৃদ্ধ বললেও বাস্তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেসব খাবারে চর্বির উপস্থিতি আছে বেশ ভালো পরিমাণেই।

বেসরকারি সংস্থা সিএসই জানায়, জনপ্রিয় জাংক ফুডগুলোতে অধিক মাত্রায় চর্বি, লবণ ও চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব খাবার যারা নিয়মিত খায় তাদের ডায়াবেটিস ও স্থূলতায় (ওবেসিটি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

ভারতীয় এনজিও সিএসই সেদেশের ১৬টি জনপ্রিয় জাংক ফুড কোম্পানির খাদ্যপণ্য পরীক্ষার ফলাফল সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে। নামীদামী এসব কোম্পানি ও পণ্যের মধ্যে রয়েছে- কেএফসি, ম্যাগি(নেসলে), টপ রেমন নুডল্স, ম্যাকডোনাল্ডস, হলদিরাম প্রভৃতি।

এফএসএসএআই (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) এর অনুসৃত বিধি মোতাবেক- খাদ্যদ্রব্যকে তখনি ট্রান্স-ফ্যাট ফ্রি বলা যায় যখন তাতে অপরিনিষিক্ত চর্বির পরিমাণ শতকরা ০.০২ এরও নিচে থাকে। সিএসই’র পরীক্ষায় বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের খাদ্যে ট্রান্স-ফ্যাট উল্লেখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, ট্রান্স-ফ্যাট ধমনীতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর বাড়তি মাত্রায় লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। সিএসই জানায়, আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু কিছু খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স-ফ্যাট, লবণ আর চিনির মাত্রা এত বেশি যে এগুলো খেলে বয়ষ্করা তো বটেই, তরুণরাও নানান রোগ-শোকে আক্রান্ত হতে পারে।

সিএসই’র অভিযোগ- ওইসব কোম্পানি তাদের খাদ্যপণ্য তৈরিতে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করে তাও পরিষ্কার করে বলে না। ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউট্রিশন(এনআইএন) এর মতে, একজন মানুষের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ ৬ গ্রাম লবণ যথেষ্ট। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও বা হু)’র মতে এর পরিমাণ আরও এক গ্রাম কম অর্থাৎ ৫ গ্রাম। সে হিসেবে ম্যাগির ৮০ গ্রাম পরিমাণ জাংক ফুডের একটি প্যাকেটে লবণ থাকে ৩.৫ গ্রাম। এটা হচ্ছে সারাদিনে গ্রহণযোগ্য মাত্রার ৬০%।

হু’র মতে- কুল এনার্জি’র শতকরা সর্বোচ্চ ১ ভাগ নেওয়া যেতে পারে ট্রান্স-ফ্যাট থেকে। এভাবে প্রতিদিন একজন পুরুষ ২.৬ গ্রাম, নারী ২.১ গ্রাম ও শিশু ২.৩ গ্রাম ট্রান্স-ফ্যাট নিতে পারে। সিএসই’র পরীক্ষায় দেখা যায়, টপ রেমন সুপার নুডলসে ১০০ গ্রামে ট্রান্স-ফ্যাটের পরিমাণ ০.৭%। যদিও কোম্পানিটি বিজ্ঞাপনে ও অন্যান্য মাধ্যমে ঘোষণা করে আসছে যে এই পণ্যটি ট্রান্স-ফ্যাট ফ্রি। অপর প্রতিষ্ঠান হলদিরাম তদের জনপ্রিয় পণ্য আলু ভুজিয়া কেও ট্রান্স-ফ্যাট মুক্ত দাবি করে থাকে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ট্রান্স-ফ্যাটের পরিমাণ ২.৫%। পেপসিকো কোম্পানি তাদের জনপ্রিয় চিপ্স লেইস (স্ন্যাক স্মার্ট) কেও ট্রান্স-ফ্যাট মুক্ত দাবি করে। তবে পরীক্ষায় (ফেব্রুয়ারি ২০১২) দেখা গেছে পেপসিকো’র ওই চিপসের প্রতি ১০০ গ্রামে ট্রান্স-ফ্যাটের পরিমাণ ৩.৭ গ্রাম।

তবে সংশ্রিষ্ট কোম্পানিগুলো বলছে ভিন্ন কথা। এ ব্যাপারে পেপসিকো’র বক্তব্য হচ্ছে- ভারতে আমাদের সবগুলো প্রোডাক্ট-ই অনুমোদিত পণ্যমান মোতাবেক তৈরি। সে হিসেবে লেইস, আংকেল চিপ্স, কুড়কুড়ে প্রভৃতি খাদ্যপণ্য ট্রান্স-ফ্যাট মুক্ত।

ম্যাগি’র প্রস্তুতকারী নেসলে বলছে, আমরা সিএসই’র কাজের কদর করি। কিন্তু ম্যাগি একটি হাল্কা খাবার। এটি ‘ডাইভার্সিফাইড ব্যালেন্সড ডায়েট’ এর অংশ হিসেবে গ্রহণ করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ