1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

অভিবাসননীতি, আইএস দমন নিয়ে মতবিরোধ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫
  • ১৭৯ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিলওয়াকিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় 7অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ রিপাবলিকান বিতর্ক। এতে অংশগ্রহণকারী আট প্রার্থী অন্তত একটি প্রশ্নে একমত হয়েছেন। মতবিরোধে জড়িয়েছেন অভিবাসন ও বৈদেশিক নীতি, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) মোকাবিলার মতো প্রশ্নে।
আগের তিনটি রিপাবলিকান বিতর্কের তুলনায় মঙ্গলবারের বিতর্ক ছিল অনেকটা পানসে। চতুর্থ বিতর্কের দায়িত্বে ছিল ফক্স বিজনেস টিভি নেটওয়ার্ক ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল যে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকবে অর্থনীতিকেন্দ্রিক প্রশ্ন।
একমাত্র যে প্রশ্নে বিতর্কে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা কিঞ্চিৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন তা হলো, অভিবাসন নিয়ে তাঁদের প্রস্তাবিত নীতিতে। বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করবেন এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থায়ী দেয়াল নির্মাণ করবেন। ট্রাম্পের এ কথার শক্ত প্রতিবাদ করেন ওহাইওর গভর্নর জন কেইসিক।
গত তিন বিতর্কে ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ ভালো করতে পারেননি। ফলে এ বিতর্ক তাঁর জন্য ছিল বাঁচা-মরার পরীক্ষা। অধিকাংশ ভাষ্যকারের মতে, বুশ সেই পরীক্ষায় উতরেছেন। আগের বিতর্কে তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও। তাতে ফল হয়েছিল উল্টো, রুবিও তাঁকে তর্কযুদ্ধে কাবু করেছিলেন। গতকাল সেই পথে না গিয়ে বুশ নীতিগত প্রশ্নের ওপর মনোযোগ দেন।

জেব বুশও ট্রাম্পের বিরোধিতা করে যুক্তি দেখান, এসব অভিবাসীকে বহিষ্কার করার অর্থ হবে লাখো পরিবারকে বিভক্ত করা, ছেলেমেয়েদের তাঁদের থেকে আলাদা করা। বৈদেশিক নীতির প্রশ্নেও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেন।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাশিয়ার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি আইএসকে বোমা মেরে নিশ্চিহ্ন করেন, সেটা হবে খুব সুখবর। তিনি যুক্তি দেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের পুলিশম্যান হতে পারে না; তার উচিত হবে না সিরিয়ায় সেনা পাঠানো। তবে বুশ ট্রাম্পের প্রতি তির নিক্ষেপ করে মন্তব্য করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের পুলিশম্যান হতে হবে না, কিন্তু তাকে অবশ্যই বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে হবে।’

বিতর্কে অংশগ্রহণকারী একমাত্র নারী প্রার্থী ব্যবসায়ী কার্লি ফিয়োরিনা এবারও তাঁর ত্বরিত ও সুচিন্তিত জবাবের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিগত বিতর্কের মতো গতকালের বিতর্কেও সিনেটর রুবিও এবং সিনেটর টেড ক্রুজ তাঁদের বাগ্মিতার জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রশ্নে রুবিও এবং সিনেটর র‍্যান্ড পলের তির্যক বাক্যবিনিময়।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমজীবীদের সর্বনিম্ন ঘণ্টাপ্রতি বেতন ১৫ ডলারে উন্নীত করার প্রয়োজন নেই বলে একমত হন ওই আট বিতার্কিক। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধি তিনি সমর্থন করেন না। কারণ, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের কাছে হেরে যাচ্ছে।

ট্রাম্পকে অনুসরণ করে একই জবাব দেন সাবেক শল্যচিকিৎসক বেন কারসন। তবে তাঁর যুক্তি ছিল, বেতন বাড়ানো হলে দেশে বেকারত্ব বাড়বে।

যেদিন এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়, নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুওমো সেদিন ঘণ্টাপ্রতি সর্বনিম্ন বেতন ৭ দশমিক ২৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাব করেন। উল্লেখ্য, ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রধান প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধির পক্ষে জোর সমর্থন দিয়েছেন। অধিকাংশ ভাষ্যকারই একমত, এবারের বিতর্কে সবচেয়ে ভালো করেছেন মার্কো রুবিও।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ