হন্ডুরাসের এক কুমীর খামারে ১০ হাজারেরও বেশি কুমির বেশ কয়েক সপ্তাহ না খেয়ে থাকার
পর অবশেষে তাদের খেতে দেয়া হয়েছে। আমেরিকার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রভাবশালী ওই খামার মালিকের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ৭ অক্টোবর।
ওই খামার মালিক হাইমে রোজেন্থাল, তার ছেলে ইয়ানি আর ভাগ্নে ইয়াঙ্কেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং এই অভিযোগেই তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হয়।
ওই খামারে কুমিরের চামড়া ও মাংসের জন্য কুমির প্রজনন করানো হতো।
কুমিরগুলো প্রায় এক মাস না খেয়ে আছে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হন্ডুরাসের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি বন সংরক্ষণ সংস্থা কুমিরগুলোর খাবার জন্য দেড় হাড়ার কিলোগ্রাম মুরগি দান করে।
কিন্তু খামারের কর্মচারীরা তাদের একমাসের বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত কুমিরগুলোকে খাওয়াতে অস্বীকার করে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়।
ওই সংস্থা ফরেস্ট কনজারভেশান ইন্সটিটিউট জানায় তারা কর্মচারীদের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে।
ইতোমধ্যে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয় যে স্থানীয় একটি খামার যারা কুমির খামারের জন্য খাবার সরবরাহ করে থাকে তারা ওই খামারের অভুক্ত কুমির এবং সিংহদের খাবার জন্য ২ টন পরিমাণ গরুর নাড়িভুঁড়ি সরবরাহ করে। তারাই উদ্যোগী হয়ে কুমিরগুলোকে গরুর নাড়িভুঁড়ি এবং মুরগি খেতে দেয়।
খামারের পরিচালক বলছেন এই খাবারে ১০ হাজার কুমিরের দু-তিন দিন চলে যাবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা