1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন

বিরল ও বিচিত্র ভাস্কর্যের কাছাকাছি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫
  • ১৭১ Time View

হাজার বছরের ইতিহাস বহন করা ৮৫টি বিরল ভাস্কর্য বিনা মূল্যে দেখার সুযোগ মিলছে জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনের সামনের লবিতে। সেখানে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ভাস্কর্যের বিশেষ প্রদর্শনী।
বুধবার সকালে জাদুঘরের মূল প্রবেশপথে লালগালিচার সামনে অপেক্ষা করছিলেন কর্মকর্তারা। উৎসুক দর্শকদেরও ভিড় সেখানে। সবাই অপেক্ষা করছেন বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাইয়ের জন্য। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ডেভেলপমেন্ট অব সাসটেইনেবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ বুড্ডিস্ট হেরিটেজ অ্যান্ড পিলগ্রিমেজ সার্কিটস ইন সাউথ এশিয়া’স বুড্ডিস্ট হার্টল্যান্ড’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি ঢাকায় এসেছেন। ওই সম্মেলনকে উপলক্ষে করে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। গতকাল নির্ধারিত সময়ে জাদুঘরের পৌঁছে স্মিত হাসিতে আয়োজকদের শুভেচ্ছার জবাব দিলেন তালেব রিফাই। লালগালিচা ধরে এগিয়ে মিলনায়তনের সামনে ফিতা কেটে উদ্বোধন করলেন প্রদর্শনীর।
ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি তালেব রেহাই ছাড়াও কথা বলেন আয়োজনের সম্মানিত অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আয়োজক হিসেবে জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম আজিজুর রহমান। বক্তাদের সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনার কথাটি গুরুত্ব দিয়ে বললেন, যেখানে বৌদ্ধ নিদর্শনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২৪ ঘণ্টার জন্য বাংলাদেশে এসে তালেব রিফাই মুগ্ধ, ‘অল্প সময়ের জন্য হলেও বাংলাদেশে এসে যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে এখানকার সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা আছে। এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্যিক অংশই হলো বৌদ্ধ ভাস্কর্য।’
রাশেদ খান মেনন আশাবাদী, আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘পর্যটন সুন্দর বাংলাদেশ’। তিনি বাংলাদেশে পর্যটন খাতে উন্নয়নের নানা দিক বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
আসাদুজ্জামান নূরের মতে, সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘পর্যটকেরা এখন শুধু সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়ানো কিংবা সন্ধ্যায় গানবাজনা শোনার কাজেই নিজেদের ব্যস্ত রাখেন না, দর্শনীয় স্থান তথা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কেও তাঁদের আগ্রহ বাড়ছে।’
অল্প কথায় শেষ হলো উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা। অতিথিরা ঘুরে দেখলেন পুরো প্রদর্শনী, সঙ্গে সাধারণ দর্শনার্থীরাও। হাজার বছরের স্মারক উদ্ভাসিত হলো তাঁদের সামনে। মিলল অষ্টম থেকে একাদশ শতকে পাল-চন্দ্র শাসনকালের তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের অবলোকিতেশ্বর, ধ্যানিবুদ্ধ, বজ্রসত্ত্বের ভাস্কর্য। দেখা গেল ব্রাহ্মধর্মের প্রভাবিত ও স্থানীয় ধর্মান্তরিত জনগোষ্ঠীর তৈরি চুন্ডা, হেরুক, তারা, হারিতি, মারিচি, পর্ণশবরী প্রভৃতি বৌদ্ধ দেব-দেবীর ভাস্কর্য। জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার নূরে নাসরীনের দাবি, পৃথিবীর অন্য কোনো জাদুঘরে এ ধরনের বিরল ও বিচিত্র বুদ্ধ ভাস্কর্য নেই। এ দিক থেকে প্রদর্শনীটি অনন্য।
আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দর্শকের জন্য খোলা থাকবে প্রদর্শনী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ