1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃত্যু ঝুঁকি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫
  • ১২২ Time View

স্বর্ণ খনির উপর নির্ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকার শহর জোনানেসবার্গ গড়ে উঠেছে। এখন 6সেখানকার বেশিরভাগ খনিই বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ আর অপরাধী চক্রগুলো এখনো এসব পরিত্যক্ত খনিতে সোনার খোঁজ করে। অনেক সময়ই এটি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায় যে তাদের মৃত্যুও ঘটে।
সোনা খাতের অবনতি, বেকারত্ব, অবৈধ অভিবাসন, আর দারিদ্রের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনা খোঁজার এই প্রবণতা বাড়ছে।
স্বর্ণ শহরের মাটির নীচের সুরঙ্গে, বাতি, শাবল, হাতুড়ির মতো খুব সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করছেন স্বর্ণ সন্ধানীরা। জামাজামাজ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত এই স্বর্ণ সন্ধানীরা জোহানেসবার্গ পরিত্যক্ত কয়েকটি সোনার খনিতে নিয়মিত সোনার খোঁজ করেন।
পরস্পরের সঙ্গে শক্ত রশি দিয়ে নিজেদের বেঁধে, মাটির চারশ ফিট নিচে, অনেক সময় এক সপ্তাহ ধরে তারা সোনার খোঁজ করে। তাদের বিশেষ কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বাঁচানোরও কোনো উপায় নেই। গভীর সুরঙ্গ থেকে দুই দিন পরে কিছু আকরিক নিয়ে বেরিয়ে এসেছে রয় নোয়ার।
তিনি বলছিলেন, ‘এগুলো এখনো পাথরের টুকরো। কিন্তু আমাদের নিয়োগ দেয়া অনেক মহিলা রয়েছে, যারা এসব পাথর গুঁড়ো করে সোনা বের করবে। তখনি আমি বলতে পারব আমি কতটা সোনা পেয়েছি।’
তবে এখানে এ রকম এক-দুজন নয়, অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন সোনার খোঁজে আসে। আর এখন এটি অনেকটা যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো রূপ নিয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসিয়ে, একেকটি খনির মুখ পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র অপরাধী বাহিনী। অনেক সময়ই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।
কালো বাজারে এই সোনা প্রতি গ্রাম বত্রিশশো টাকা দরে বিক্রি হয়। এই লাভের জন্য অনেকে তাদের জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
খানিকটা দূরেই একটি খনিতে, আটকেপড়া একজন স্বর্ণ সন্ধানীকে বের করে আনার চেষ্টা করছে উদ্ধার কর্মীরা। কিন্তু অনেক সময় তাদের এ ধরনের চেষ্টা শেষপর্যন্ত বাদ দিতে হয়, কারণ খনির উপরের ভাগও ঝুঁকিমুক্ত নয়।
তাই প্রতি সপ্তাহেই কারো কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়। ইমাম ট্রুকাডার তিন ভাই খনিতে নিহত হয়েছে।
তিনি বলছেন, ‘আমার সোনা খুঁজছিলাম। হঠাৎ সেখানে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। আমরা দৌড়ে উপরে আসার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু তারা সেখানেই পড়ে যায়। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, যে আমি বেঁচে যাব। আমরা কখনেই তাদের মৃতদেহ বের করে আনতে পারিনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থনীতির অবনতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক বেশি তরুণের কাছে এসব খনি, অভাব দূর করার উপায় হয়ে উঠেছে। বেশি সোনা পাওয়ার আশায় তারা খনির আরও গভীরে নামছে, কিন্তু নিরাপদে সেখান থেকে উঠে আসতে পারবে কিনা, সেই নিশ্চয়তা কারো নেই। সূত্র : বিবিসি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ