প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অধিকতর উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল
প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের পরিকল্পনার কথা পুনর্ব্যক্ত করে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের লক্ষ্যে নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সরকার নতুন নতুন এলাকা চিহ্নিত করছে। আজ বুধবার তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের তৃতীয় বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে দেশে ২১টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে এ সংখ্যা একশ’তে উন্নীত করার লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো গতিশীল হবে বলে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সঙ্গে আরো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের স্থান নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের তৃতীয় বৈঠক ছিল এটি। এবৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফয়েল আহমদ, পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা প্রয়োজনে নিজ উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। তিনি বলেনন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জলাধার থাকার আবশ্যকতার কথাও বলেছেন। অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা নির্ধারণ করে উৎপাদনের পরমর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে শ্রমঘন শিল্প গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।