গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসছে আজ বৃহস্পতিবার। বিকেল ৪টার দিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবে।
বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২৫ শতাংশ ও বিদ্যুতের দাম গড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিইআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আবাসিক এক চুলা ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ এবং দুই চুলা ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হতে পারে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাসের দাম গড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। এর আগে ২০০৯ সালে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
জানা গেছে, শহরের গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম বাড়লেও কৃষি, সার ও গ্রামের প্রান্তিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। তবে গ্রামের অর্থাৎ আরইবি গ্রাহকদের ৬০০ ইউনিটের বেশি যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন শুধু তাদের দাম বাড়ানো হবে। এছাড়া পিডিবি, ডিপিডিসি, ডেসকো এবং ওজোপাডিকোর গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৪১ পয়সা বাড়বে। অর্থাৎ ১ থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিট তিন টাকা ৩৩ পয়সা থেকে বেড়ে হবে তিন টাকা ৭৪ পয়সা, এক থেকে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিট তিন টাকা ৫৩ পয়সা থেকে বেড়ে হবে তিন টাকা ৮৭ পয়সা। এাছাড়া ২০১ ইউনিট থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিট পাঁচ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বেড়ে ছয় টাকা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত পাঁচ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বেড়ে ছয় টাকা ৫০ পয়সা এবং ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত আট টাকা ৫১ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে তা ১০ টাকা করা হতে পারে। অর্থাৎ ২০১ ইউনিট থেকে পর্যায়ক্রমে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত গড়ে ২৫ শতাংশ করে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। আর ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের প্রতি ইউনিট ১১ টাকা ৫০ পয়সা করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।