1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন

বান্দরবানে অতিরিক্ত বিজিবি ও সেনা মোতায়েন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫
  • ১৫০ Time View

বান্দরবানে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলির পর ওই এলাকায় বিজিবি ও সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।ojfsfdsofpew

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আরাকান আর্মির সদস্যরা বিজিবির একটি টহল দলের ওপর গুলি ছুড়লে পাল্টা গুলি চালানো হয়।

তারপর প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় ধরে গোলাগুলি হয়েছে। সে সময় বিজিবির সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও যোগ দেয়।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকেও ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বান্দরবানের থানচি উপজেলার বড়মোদকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিজিবির একটি দল নদীপথে টহলে বেরিয়েছিল।

হঠাৎ পাহাড় থেকে তাদের ওপর গুলি চালায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি। সংগঠনটি সেখানে বিজিবির একটি ক্যাম্পেও গুলি চালায়। তখন বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। এতে বিজিবির সাথে সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও যোগ দেয়।

সকাল পৌনে নয়টা থেকে বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত প্রায় চয় ঘণ্টা সময় ধরে গোলাগুলির পর বিজিবি এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, “আমরা গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছিলাম যে, আরাকান আর্মি কোথাও থেকে কিছু অ্যারাবিয়ান ঘোড়া কোনভাবে ঐ এলাকায় এনেছে এবং আমাদের বিজিবি এধরণের দশটি অ্যারাবিয়ান ঘোড়া জব্দ করে। ছয়টা ঘোড়া বড়মোদক এলাকা থেকে এবং থানচি থেকে চারটি ঘোড়া জব্দ করা হয়।এরসাথে আরাকান আর্মির হঠাৎ এই আক্রমণের ঘটনার একটা যোগসূত্র থাকতে পারে বলে আমি মনে করছি।”

বিজিবির কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সকালে আরাকান আর্মির আক্রমণের শুরুতেই বিজিবির নায়েক জাকির গুলিবিদ্ধ হন।

তাকে চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।বিজিবির এই সদস্য আশংকা মুক্ত বলে বাহিনীটি বলেছে।

বিজিবির মহাপরিচালক জেনারেল আহমেদ বলেছেন, গোলাগুলির সময় বাংলাদেশের পক্স থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে তাদেরও ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতা করতে চেয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। ওইএলাকায় বিজিবি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাগুলোতে এখন কয়েকদিন ধরে অভিযান চালানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

ওদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের এই সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা টু মিয়াট নাই। তিনি তাদের ঘোড়া ধরে আনার বিষয়কেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। -বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ