প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রযুক্তির ফলে এখন অল্প জায়গাতেই শিল্পকারখানা করা যায়। তিনি বলেন, এখন আর আগের মতো শিল্পকারখানা করতে অনেক জায়গা লাগে না। আজ বুধবার নিজ কার্যালয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট’র বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামানিক, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বৈঠকে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, বৈঠকে জানানো হয়, দেশে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বোর্ড (বিওআই) প্রাইভেটাইজেশন কমিশন একীভূত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বন্ধ সরকারি শিল্প কলকারখানার অব্যবহৃত জমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রয় করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই জমি ভবিষ্যতে শিল্প পার্ক স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, এ মুহূর্তে একটি আধুনিক শিল্প স্থাপনের জন্য বেশি জমির প্রয়োজন নেই। স্বল্প জমিতে এই শিল্প স্থাপন করা যেতে পারে। শেখ হাসিনা পাটকে দেশের পরিবেশবান্ধব কৃষিসম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সরকার বাংলাদেশে পাটের সূতা উৎপাদনে চীনকে প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বর্তমান ক্ষুদ্র শিল্প ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার সিলিং বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এদিকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট’র বৈঠকে ‘বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট এন্ড প্রাইভেটাইজেশন কমিশন’ বিলুপ্ত করে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এন্ড ইনভেস্টমেন্ট’র সাথে একীভূত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব পাট শিল্পের প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেন। ক্ষুদ্র শিল্প ঋণ ৫ লাখ টাকা থেকে আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। এছাড়াও বৈঠকে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।