ইউরোপের অর্থনৈতিক সঙ্কট নিরসনে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অচলাবস্থা দূরীকরণে জার্মানির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আর এরই প্রেক্ষিতে ডেভিড ক্যামেরন এবং বারাক ওবামা এই সংকট নিরসনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
দুই নেতা জার্মান চ্যান্সেলরকে তাগাদা দিয়ে বলেন, এই পরিস্থিতি নিরসনে জার্মানিকে সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বেরিয়ে এসে ইউরো জোনের অর্থনীতিকে রক্ষা করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
ক্যামেরন এবং ওবামা মূলত চান ইউরোপের অর্থনীতিকে সংকটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অনুমোদিত ১ ট্রিলিয়ন ইউরোর তহবিলে জার্মানি তাদের অংশ দ্রুত পরিশোধ করুক।
ইতালির অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব স্পেন এমনকি ফ্রান্সেও পড়তে পারে বলে আশংকা ঘনীভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এই আহ্বান জানালেন।
গত শনিবার ওবামা মেরকেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারাকোজিকে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইতস্তত না করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন এবং ইউরোকে বাঁচান।
ওবামা এবং ক্যামেরন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইউরো এলাকার এই অর্থনৈতিক দুরাবস্থা গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে নতুন করে মন্দার কবলে ফেলবে।
ব্রিটেনের অর্থনীতি এখনও এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করলেও ক্যামেরন স্বীকার করেন, বর্তমানে সামগ্রিক অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং একে অস্বীকার করে কোনও লাভ নেই।
গত মাসে অনুমোদন করা ইউরো অর্থনীতি পুনরুদ্ধার চুক্তিকে বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে জার্মানি সময়ক্ষেপণ করছে বলে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিট এবং হোয়াইট হাউজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
মেরকেলকে দেখে মনে হয় তিনি যেন ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করবেন- এমন মন্তব্য করেছে ব্রিটেন।
এই চুক্তিতে ইতালি এবং গ্রিসের মতো ইউরোভূক্ত অর্থনৈতিক সংকট কবলিত দেশগুলোর অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য ১ ট্রিলিয়ন ইউরোর তহবিল গঠন করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে ইতালীয় সংসদে গত শনিবার একটি নতুন ব্যয় সংকোচন প্রস্তাব পাস হয়েছে। এর ফলে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি পদত্যাগ করেছেন।