1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

বিসিবি সভাপতির চোটপাট বিকেলেই থেমে গেছে!

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১১
  • ২০২ Time View

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল একটি আদেশ জারি করলেন,‘জাতীয় দলের যে যে ক্রিকেটার জাতীয় লিগে খেলছেন না, তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হোক। নোটিশ হাতে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক মাসের বেতন কর্তন করা হবে।’

আদেশ পেয়ে মহাব্যবস্থাপক নিজামউদ্দিন চৌধুরী সভাপতির কক্ষ বেরিয়ে যাওয়ার পর বিসিবি মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস মোস্তফা কামালকে বোঝানোর চেষ্টা করেন,‘আগে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে নিলে ভালো হয়’। দমার পাত্র তো নন বিসিবি সভাপতি। উল্টো মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যানকে জানালেন,‘অনেক হয়েছে। কোথাও ছাড় দেওয়া যাবে না। আগে জবাব চাই পরে সিদ্ধান্ত।’

করিৎকর্মা মহাব্যবস্থাপক ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে যোগাযোগ করে নির্দেশ দিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং রুবেল হোসেনের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ তৈরির জন্য। জাতীয় লিগে খেলছেন না জাতীয় দলের এই চার ক্রিকেটার। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের হাতে কোন নোটিশ পৌঁছায়নি।

সাকিব, মুশফিকুর এবং রুবেল হোসেনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকে। জাতীয় দলের ম্যানেজার জাহিদ রাজ্জাক মাসুম বাংলানিউজকে জানান,“প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল এই তিন ক্রিকেটারকে বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।”

তামিম ইকবাল অবশ্য খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে শারীরিক সমস্যা হওয়ায় চিকিৎসকরা তিনদিনের বিশ্রাম দিয়েছেন তাকে। গলায় ‘নেক গার্ড’ বেঁধে চট্টগ্রামেই আছেন তামিম। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীও অবগত আছেন তামিমের শারীরিক সমস্যার বিষয়ে। তিনি বলছেন,‌” তামিমের ঘারের চোট সমান্য হলেও সে মনে করছে খেলতে পারবে না। আমি চট্টগ্রাম দলের ফিজিও`র সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলছেন ৩০ শতাংশ অবস্থার উন্নতি হয়েছে। রোববারের মধ্যে আরো ভালো হবে। কিন্তু পুরো সুস্থ্য না হলে তাকে খেলতে দেওয়া হবে না। কারণ সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে হবে।”

বিসিবি সভাপতির নির্দেশনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় বোর্ডের এক বিভাগের সঙ্গে অন্যবিভাগের সমন্বয়ের অভাবটা। এমনকি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকেও স্বাধীন ভাবে কাজ করারা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সমন্বয় থাকলে বিসিবি সভাপতি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কাছ থেকেই বিষয়টি জেনে নিতে পারতেন। কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা।

মজার বিষয় হলো সকালে চোটপাট দেখিয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি সন্ধ্যায় সে অবস্থান থেকে সরে আসেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে ইমেইল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে কয়েকজন খেলোয়াড়ের চোট সমস্যা থাকায় জাতীয় লিগে খেলতে পারবে না!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ