বন্দনগরী চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার হয়ে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবে চীন। এ বিষয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এমওইউ স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে আগামীকাল বুধবার ১০ সদস্যের চীনা প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম সফর করবেন বলে জানা গেছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে ঢাকায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, পূর্তসচিব, নৌ সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যান, বন্দর চেয়ারম্যনসহ বিভিন্ন পর্যাযের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আকতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিদেশি অর্থায়নে এই কাজ করার চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আগামীকাল ১০ সদস্যের চীনা প্রতিনিধিদলের চট্টগ্রাম সফর করার কথা রয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় হয়ে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এখন লালখানবাজার পর্যন্ত যুক্ত হওয়ায় এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ কিলোমিটারে দাঁড়াতে পারে। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নয়ন ও পরিবর্তন সাধিত হবে। চীনের সঙ্গে আগামী ২৩ নভেম্বর এই বিষয়ে এমওইউ স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সিডিএ চেয়ারম্যান জানান।