১৪ দলের ঐক্য রাখতে সতর্ক থাকার আহবান

১৪ দলের ঐক্য রাখতে সতর্ক থাকার আহবান

‘১৪ দলের ঐক্য অটুট আছে’ দাবি করে আগামীতেও ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন এ জোটের নেতারা।

মঙ্গলবার বিকেলে ধানম-ীতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।

এ সময়  ১৪ দলের ঐক্য যাতে বিনষ্ট না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহবান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমরা অতীতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। বর্তমানেও ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকবো।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২৩ দফার ভিত্তিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী দিনগুলোতেও ঐক্যবদ্ধ থেকে স্বাধীনতার চেতনা রক্ষার জন্য কাজ করে যাবো। এ ঐক্য ভাঙার ক্ষমতা কারো নেই।’

১৪ দলের এ সভায় আগামী ১১ মার্চ ঢাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির রুট নির্ধারণ করা হয়। এ মানববন্ধন সদরঘাট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ১৪ দলের কর্মসূচিগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে ৯ মার্চ জেলাগুলোতে ১৪ দলের মানববন্ধন হবে। এ কর্মসূচিতে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ জেলায় অংশ নেবেন।

একই দাবিতে ১১ মার্চ ঢাকায় বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি হবে। রাজধানীর সদর ঘাট থেকে নয়া বাজার, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, বিজয় নগর, কাকরাইল, মালিবাগ, রামপুরা, খিলক্ষেত হয়ে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত এই মানববন্ধন বিস্তৃত হবে।

১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ১৪ দলের সেই ঐক্য অটুট আছে, অটুট থাকবে। যত দিন পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হবে তত দিন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

তবে এই ঐক্যে যাতে কেউ ফাটল ধরাতে না পারে সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় এক প্রশ্নের উত্তরে  মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘যার দুই পুত্র দুর্নীতির দায়ে জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে পালিয়ে যায়। তার মুখে আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার কথা মানায় না। আমি বলব এ ধরনের কথা বলার আগে নিজের চেহারা যেন আয়নায় দেখে নেন।’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘অনৈক্য থাকলে ঐক্যের প্রশ্ন আসে। আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে তাই অনৈক্যের প্রশ্নই ওঠে না।’

আওয়াম লীগকে উপক্ষো করে জোটের শরিকদের পৃথক বৈঠক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন ও মাহবুব আলম হানিফ উভয়েই বলেন, ‘আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। আমরা কর্মসূচি নিয়ে বসেছিলাম।’

বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি