1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

সাক্ষ্য দিতে কাল ভারত যাচ্ছেন ফেলানীর বাবাসহ প্রতিনিধি দল

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪
  • ৬৯ Time View

felaniভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে আবারো শুরু হচ্ছে ফেলানী হত্যার পুনঃবিচার কাজ। তাই রোববার স্বাক্ষ্য দিতে ভারত যাচ্ছেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি ভারপ্রাপ্ত পরিচালকসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সোমবার বিশেষ আদালতে স্বাক্ষ্য দিবেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়ায় বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী।
এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু করে ভারত সরকার।

সে সময় আদালতে স্বাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফ। কিন্তু ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

আবারো সমালোচনার ঝড় উঠলে বিজিবি-বিএসএফ’র দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচারের আশ্বাস দেয় বিএসএফ। গত ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু হয় বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে।

পুনঃবিচারে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্য দিতে ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশী প্রতিনিধি দল রওয়ানা হয়। কিন্তু আদালতের বিচারিক কার্যক্রম মুলতুবি হওয়ায় প্রতিনিধি দলটি আসেন।

ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করছে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম।

কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি’রর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলাম, রোববার ফেলানীর বাবাসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ভারতে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। সোমবার বিএসএফ’র স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে স্বাক্ষ্য দিবেন ফেলানীর বাবা।

বিএসএফ’র গুলিতে নির্মম ভাবে নিহত ফেলানী ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে কমে আসবে সীমান্ত হত্যা। আর খালি হবে না কোন মায়ের বুক এমটাই প্রত্যাশা সীমান্তবাসী মানুষসহ দেশবাসীর।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ