তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সক্ষমতা বাড়াতে শিক্ষার পাশাপাশি এবার দেশের নারীদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিকভাবে উদ্ভানী প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এই উদ্যোগ প্রাথমিক পর্যায়েও বিস্তৃত করা হচ্ছে চলতি বছরেই। পাশপাশি নেয়া হয়েছে ‘নারীর দ্বারা এবং নারীর জন্য’ একটি উদ্যোগ।
মাইক্রসফট বাংলাদেশের শিক্ষা প্রকল্প ব্যবস্থাপক সারানা ইসলাম ও টেক ইভানজেলিস্ট তানজিম সাকিব এ তথ্য জানান।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তির কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজে শিক্ষকদের উৎসাহিত করতে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে। চলতি বছরে এই পরিধি ও পরিসর বাড়ছে। এই ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
টেক ইভানজেলিস্ট তানজিম সাকিব জানান নারীরা যেন ডেভেলপিং-এ আরে বেশি আগ্রহী হয়ে আধুনিক ও উন্নত কিছু তৈরি করতে পারে সে উদ্দেশ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ডেভেলপ উইথ গ্রেস’ শীর্ষক একটি সেমিনার করেছে।
মাইক্রোসফটের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সারাদিনের এ সেমিনারে ২৫ নারী অংশ নেন। অ্যাপ স্টুডিও, ভিজ্যুয়াল স্টুডিও ও গেম ডেভেলপমেন্টে বাংলাদেশের নারীদের আগ্রহ বেশি বলেও জানান তানজিম। তিনি আরো জানান, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেমিনারে উইন্ডোজ এবং উইন্ডোজ ফোনের জন্য ২০টি ওয়াপ ও ২৫টি গেম তৈরি করেন অংশগ্রহণকারী নারীরা। সফলভাবে তৈরি ওয়াপ ও গেম ইতিমধ্যে উইন্ডোজ এবং উইন্ডোজ ফোন স্টোরের তালিকায় যুক্ত করেছে মাইক্রোসফট।
তানজিম সাকিব বলেন, নারীরা যেন তাদের প্রতিভা দিয়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইকোসিস্টেমে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং এ বিষয়ে আরো আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে সে উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অপরদিকে শিক্ষায় মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কার্যক্রম বিষয়ে শিক্ষা প্রকল্প ব্যবস্থাপক সারানা ইসলাম বললেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পেলে চলতি বছরে আমরা বাংলাদেশর শিক্ষা ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত ডিজিটাল কনটেন্ট এর যোগান দিতে পারবো। এজন্য ইতিমধ্যেমই আমরা দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭৪ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তারা এখন আন্তর্জাতিক মানের কনেটন্ট তৈরি করছে। এসব কনটেন্টের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে স্কুলে অনুপস্থিতির হার কমছে।
তবে দুর্নীতি এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকায় মাইক্রোসফট অন্যান্য উন্নত বিশ্বে যতটা ব্যাপকভাবে কাজ করছে, অনুদান দিচ্ছে সেই দিক থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে বলেও জানান সারানা।