২০১৪ সালের বৈশ্বিক শান্তি সূচকে (জিপিআই) প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে, বাংলাদেশের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ নেপাল ও ভুটান এগিয়ে রয়েছে।
২০১৩ সালের উপাত্ত ব্যবহার করে সম্প্রতি তৈরি জিপিআই সূচকে ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) তৈরি করা এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘মাঝারি’ ক্যাটাগরির বলে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আগের বছরের শান্তি-সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৫তম। ২০১২ সালে তা ছিল ৯১তম।
সমাজে বিদ্যমান সহিংসতা, হত্যা, মানুষের হাতে অস্ত্র, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ ২২টি বিষয় মূল্যায়ন করে ওই সূচক তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দ্বন্দ্বের সঙ্গে সম্পৃক্তি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া, সহিংসতা দেশগুলোর অর্থনীতির উপর কী প্রভাব ফেলেছে তাও বিবেচনায় আনা হয়েছে।
সূচকে ১৪৩তম অবস্থানে রয়েছে ভারত। আর ১৫৪তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তান শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিক থেকে খুবই খারাপ অবস্থায় বলে এতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আফগানিস্তানে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অবস্থান ১৬১তম, যার পরেই রয়েছে সূচক অনুযায়ী সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির দেশ সিরিয়া।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ২.১০৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শান্তি সূচকে সবার চেয়ে এগিয়ে ভুটান (স্কোর ১.৪২২)। দেশটির অবস্থান ১৬। এরপর আছে নেপাল, ৭৬তম স্থানে। ১৫৪তম স্থান নিয়ে সূচকে সবার চেয়ে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। সূচকে ভারত ১৪৩ আর শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১০৫। মালদ্বীপকে এ জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বৈশ্বিক শান্তিতে আইসল্যান্ড প্রথম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়া।
সূচক অনুযায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতায় প্রথম দিকের অন্য দেশগুলো হলো- নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, কানাডা, জাপান, বেলজিয়াম ও নরওয়ে। সূত্র: আইআরআইবি