ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে খাদ্য পরিবহণে বাংলাদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহারে ঢাকার অনুমতি চেয়েছে দিল্লি। আসামের লামডিং-বদরপুর শাখায় মিটার গেজ রেললাইনকে ব্রড গেজে উন্নীত করার জন্য আগামী ১ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য বন্ধ থাকবে রেল যোগাযোগ। এ জন্য বাংলাদেমের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে খাদ্যপণ্য পরিবহণের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এজন্য বাংলাদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহারে ঢাকার অনুমতি চেয়েছে নয়া দিল্লি। যদিও ঢাকার তরফ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি। তবে দিল্লি আশা করছে এ বিষয়টি নিয়ে ঢাকা ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবে।
বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ এ খবর দিয়েছে।
নয়া দিল্লির খাদ্য দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দেশের সড়ক ও নদীপথ ব্যবহার করে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পরিবহণের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।
যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সড়ক ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে সম্প্রতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রথম দফায় পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল ত্রিপুরায় পৌঁছায়। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম সমুদ্রবন্দর থেকে জলপথে সেই চাল কলকাতা হলদিয়া বন্দর হয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে যায়। এরপর ট্রাকে করে সেই চাল যায় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার খাদ্য নিগমের গুদামে। খুব শিগগিরই এই পথ ব্যবহার করেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচ হাজার টন চাল ত্রিপুরায় যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম, মনিপুরসহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোতে মাসে এক লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পরিবহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরমধ্যে ৬০ শতাংশ পরিবহণ হয়ে থাকে রেলপথে, বাকিটা সড়কপথে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি রাস্তায় মেগাব্লক ও উন্নয়ন কাজের জন্য রেলপথ বন্ধ থাকার কারণে সড়ক পথেই অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ জন্য গত দুই বারের মতো এবারও বাংলাদেশের জল-স্থলপথ ব্যবহার করে খাদ্যপণ্য নিতে চাচ্ছে ভারত। এ জন্য ঢাকার কাছে আবেদন জানিয়েছে মোদি সরকার।