1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে ইরাক থেকে ফিরলেন ৪১ জন

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪
  • ৭৪ Time View

ইরাকে কর্মরত ৪১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছেন তারা। ইরাকের বিভিন্ন্ স্থানে কর্মরত ছিলেন এসব শ্রমিক।image_89600_0

তারা জানান, ইরাকে বর্তমান পরিস্থিতিতিতে বাংলাদেশিরা খুবই ভীতিকর অবস্থায় আছেন। অনেক সময় ইরাকি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অনেক দুঃসহ স্মৃতি তারা কখনো ভুলতে পারবেন না বলে জানান।

বিমানবন্দরে নামা বেশ কয়েকজন ইরাক ফেরত শ্রমিক জানায়, সুন্নি বিদ্রোহী নয়, তারা শিয়া নিরাপত্তাবাহিনীর হাতেই বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। সুন্নি পরিচয় পেলেই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা তাদের নির্যাতন করেছে। এমনকি দাড়ি কেটে নিয়েছে। বন্দুকের নল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছে। এসব ভয়ে তারা নিজ খরচে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার এক বাংলাদেশি তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “আমার দাড়ি ছিল, পাসপোর্ট আছে। তারপরও আমার ওপর অসংখ্য নির্যাতন করা হয়েছে। আমার পায়ের গিট বরাবর তারা আমাকে আঘাত করেছে। তার আমার ঘাড়ে ধরে দাড়ি টেনে ওঠিয়েছে। দাড়ি ধরে যখন টান দিচ্ছিল তখন আমার মনে হচ্ছিল যেন আমার প্রাণ বেড়িয়ে যাচ্ছে।”

জিম্মি দশায় নির্যাতনের শিকার অপর এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, “আমাদের ওপর যে পরিমাণ নির্যাতন হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সেই ঘটনা মনে পড়লে এখনো আমাদের শরীর শিউরে ওঠে।”

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, জিম্মি দশা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যেক পরিবারকে বিমানের টিকিট বাবদ খরচ করতে হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। টাকার অভাবে আরো প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক দেশে ফিরতে পারছে না বলেও জানান তারা।

জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা এক শ্রমিক বলেন, “আমার বাড়ি থেকে ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট কেটে পাঠিয়েছে, তাই আমি দেশে আসতে পেরেছি। আমার মতো অসংখ্য মানুষ ইরাকে রয়েছে যারা এই টাকা যোগার করতে না পারায় দেশে ফিরতে পারছে না।”

এদিকে, ট্রাভেলিং এজেন্সি’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তারা। পাশাপাশি ইরাকে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিরুদ্ধেও এনেছেন নির্লিপ্ততার অভিযোগ।

ইরাকে নির্যাতিত এক বাংলাদেশি শ্রমিক বলেন, “আমাদের ওপর এতো অত্যাচার সত্ত্বেও সেখানকার প্রতিনিধি কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অ্যাম্বাসিতে ফোন করার পর তারা বলে আমরা দেখছি।”

অবিলম্বে জিম্মি দশায় থাকা অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

প্রসঙ্গত, ইরাকে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে বিভিন্ন কোম্পানিতে বাংলাদেশিসহ বহু বিদেশি শ্রমিক আটকা পড়ে।  ইরাকে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ