আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ নিরাপদ থাকে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ নিরাপদ থাকে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ নিরাপদ থাকে। বিএনপি এলে থানায় যেতে মানুষ ভয় পায়। সংবিধানকে ৭৫ সালের পর খণ্ডিত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেই সংবিধানকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “নারায়ণগঞ্জে কী এমন ঘটেছিল যে সেখানে সেনা মোতায়েন করতে হবে।”

নিবাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীর সঙ্গে কমিশন কোনো ধরনের আলোচনা করেনি। সেনা না দিয়ে নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। নারায়ণগঞ্জে সব ধরনের সব ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।”

বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “প্রথমে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যা করা হয় জাতির জনকের নির্দেশে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনে। এই চার নেতার হত্যাকারীদের বিদেশে পাঠানো এবং বিদেশে তাদের আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। খুনিদের বিচার করা হবে না- এই মর্মে অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের বিচার কার্য শুরু করে। তবে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এসে এই বিচারকে বাধাগ্রস্ত করে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি নেত্রী ক্ষমতায় এসে দুই খুনিকে সংসদ সদস্য বানান। ২০০১ সালে বাংলাদেশে খুন, হত্যা, ধর্ষণ, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে দেয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে খুন হয়েছেন সেনা সদস্যরা। শেষে তিনি নিজেও নিহত হন। ১৯৭৫ সালের পর খুন ও সংবিধান লঙ্ঘন শুরু হয়।”

তিনি বলেন, “মানুষের ভোটের অধিকার জিয়াউর রহমান হনন করেছিল, তা থেকে আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “সারাদেশে একযোগে ৫০০টি বোমা ফুটিয়েছে। তাদের রক্ত পিপাসা মিটেনি। তারা এখনো এই ধরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “জাতির জনককে হত্যা না করা হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়ে যেত।”

খালেদা জিয়া সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “ক্ষমতায় এসে তিনি তার স্বামীর আর্দশ গ্রহণ করেছেন। বিরোধীদলী নেতা মাঠে নেমেছেন যুদ্ধাপরাধী ও গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার ঠেকাতে। তিনি জনগণের শান্তি চান না। তিনি চান টাকা বানাতে। দেশের মানুষ ভালো থাকলে তার শান্তি থাকে না।”

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর