1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন

গুম-খুনের নেতৃত্বে খালেদা: হাসান মাহমুদ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১২ মে, ২০১৪
  • ৭৫ Time View

timthumb (1)আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বেগম জিয়া আগামীকাল নাকি নারায়ণগঞ্জ যাবেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষ কে সতর্ক থাকতে বলবো। যিনি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন তার হাতে রক্তের দাগ। তিনি পেট্রল বোমা মেরে শত শত মানুষ মেরেছেন।”

সোমবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত ‘পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) নিরাপত্তার অজুাতে ২২ বার আদালতে যাননি। তার নিরাপত্তার স্বার্থে আলিয়া মাদরাসা মাঠে তার বিচার হবে। এখন বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন। অজুহাত দিচ্ছেন হত্যা-গুমের। আপনি (খালেদা) তো হত্যা-গুমের নেতৃত্ব দিয়েছেন।”

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “র্যা বের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। নৈতিক স্খলনের জন্য পুরো বাহিনীকে যারা বিলুপ্তির পরামর্শ দেন তাদেরও মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তারও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কিনা।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “এর মধ্যে একটি দূরভিসন্ধি আছে। এটা হলো, বাংলাদেশে যাতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, সেজন্য তিনি র্যা ব বিলুপ্তির কথা বলেন। কারণ তারা জঙ্গিবাদের লালন করেন।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হয়েছে। এমনকি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডও। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আছে। তাই বলে কি বেগম জিয়া পুলিশও বিলুপ্তি কথা বলবেন? জঙ্গিবাদ নিমূলে র্যা ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের সঙ্গে র্যা বেরও সফলতা আছে।”

জেলায় জেলায় বিক্ষোভের নামে বিএনপি যদি আবারো কোনো বিশৃঙ্খলা করলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনীতি শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমানের সময় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের মাহফুজ বাবুকে অপহরণ করা হয়। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে জেয়াউর রহমান ও তার দলের হত্যা-গুমের রাজনীতি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা করা হয়েছে। যারা পেট্রল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, তারা এখন হত্যা-গুমের রাজনীতির বিরুদ্ধে বলে। তাদের কথা শুনে মানুষ হাসে।আমাদের লজ্জা হয়। নারায়ণগঞ্জের হত্যাগুমের সঙ্গে বিএনপি জড়িত। এরা সবাই আওয়ামী পরিবারের মানুষ।”

সংগঠনের উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু একাডেমীর আরেক উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাস, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ