1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

‘গাদ্দাফি হত্যার প্রতিশোধ নেবো’

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১১
  • ২০৫ Time View

বানি ওয়ালিদ: লিবিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিশালী আদিবাসী গোষ্ঠি ওয়ারফাল্লা মুয়াম্মার গাদ্দাফি হত্যার প্রতিশোধ নেবে। একই সঙ্গে বিদ্রোহী সৈন্যরা বানি ওয়ালিদ লুট ও ধ্বংস করায়ও তারা প্রতিশোধ নেবে বলে জানায়।

ওয়ালফাল্লা গোষ্ঠির এক সদস্য সুলেইমান ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহর দেখিয়ে বলেন, ‘সামনে আমাদেরও দিন আসবে। আজ হোক কাল হোক আমার এর প্রতিশোধ নেবোই।’

বানি ওয়ালিদ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পাশ্বর্বর্তী শহর। ত্রিপোলি থেকে বানি ওয়ালিদের দুরত্ব মাত্র ১৭০ কিলোমিটার।

সুলেইমান আরও জানায়, ‘আমাদের গুলি ফুরিয়ে যাওয়ায় আমারা যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিদ্রোহী সৈন্যরা এখনও আমাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। শহরের বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে।’

গাদ্দাফি অনুগত সমর্থক এবং এনটিসি অনুগত সমর্থকদের মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা মেটাতে বেশ বেগ পেতে হবে লিবিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক রিপোর্টে বলা হয়, এনটিসির মিলিশিয়া বাহিনী লিবিয়ার গাদ্দাফি অনুগতদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। এমনকি মিসরাতার গাদ্দাফি অনুগতদের উপরও চলছে নির্যাতন।

অক্টোবরের ১৭ তারিখ এনটিসি যোদ্ধারা বানি ওয়ালিদে প্রবেশ করে। কয়েক সপ্তাহের টানা সংঘর্ষের পরে হঠ্যাৎ করেই শহরের বাসিন্দারা যুদ্ধ থামিয়ে দেয়।

দু:খ এবং প্রচন্ড ঘৃনা নিয়ে সুলেইমান আরও বলেন, ‘যখন থাওয়ার (বিদ্রোহী সৈন্য) গাদ্দাফির ব্রিগেডকে খুঁজে বের করতে পারলো না তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠলো। রাস্তার কুকুর, ঘর-বাড়ি যা কিছু পেয়েছে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। লুট করে নিয়ে গেছে শহরের সব মূল্যবান সম্পদ।’

পুরো শহর এখন রাগান্বিত। থাওয়ার সবাইকে তাদের আত্মীয় স্বজনকে হত্যা করে, গাড়ি চুরি করে, বাড়ি ধ্বংস করে শাস্তি দিয়েছে বলেও জানায় সুলেইমান।

বিদ্রোহীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বানি ওয়ালিদ সম্পূর্ণ একটি আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল। এখানে বহিরাগতদের আমরা পছন্দ করি না। আমাদের কেউ শাসন করতে পারে না। আমরা আজ হোক কাল হোক প্রতিশোধ নেবোই। সেটা এখানেই হোক আর ত্রিপোলিতেই হোক।’

ওয়ারফাল্লা লিবিয়ার সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোষ্ঠি। ওয়ারফাল্লা গোষ্ঠি গাদ্দাফি অনুগত হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত। এই গোষ্ঠির সদস্য সংখ্যা দশ লাখেরও বেশি। লিবিয়ার জনসংখ্যা প্রায় সত্তর লাখ। দেড়শ আদিবাসী গোষ্ঠিতে বিভক্ত লিবিয়া। পূর্বের ছেরেনিকা অঞ্চল অন্যান্য শক্তিশ‍ালী অঞ্চলের মধ্যে একটি।

এনটিসির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ হ্যা, আমি ওই চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এটা চোরেদের বিপ্লব। তারা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সবকিছু চুরি করে নিয়েছে তারা। গাদ্দাফিকে সমর্থন করার দায় মিটিয়েছে বানি ওয়ালিদ। কিন্তু আমরা তাকে ভালোবাসি। আমরা সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি যখন আমরা আবার অস্ত্র হতে নেবো।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ