এ সময় এরশাদের উদ্দেশে কাজী জাফর বলেন, যথেষ্ট হয়েছে এবার ক্ষ্যান্ত দিন। বয়সও অনেক হলো। ৯০ বছরে পা দিয়েছেন। এবার আপনি পানি ঘোলা করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। অবসর নিন।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে একুশের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।কাজী জাফর বলেন, উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল সরকারের প্রতি দেশের জনগণের অসন্তষের বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচন দেশের মানুষের ঘুরে দাঁড়ানো জন্য টার্নিং পয়েন্ট।
এসময় একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বলে মন্তব্য করেন কাজী জাফর।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে নীতি, নৈতিকতার অপমৃত্যু হত।
জাতীয় পার্টির একাংশের স্বঘোষিত এই চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে জনগণ ১৯ দলীয় জোটের পক্ষে রায় প্রদান করে এই সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ক্ষমতা বা অর্থের প্রলোভনকে উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনে শরীক হয়েছে।
এ সময় ১৮ দলীয় জোটকে ১৯ দলীয় জোটে রূপান্তর করে জাতীয় পার্টির প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন সারাদেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এজন্য কৃতজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে কাজী জাফরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির এই বীরোচিত ভূমিকা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। জনগণের আন্দোলন বৃথা যায় না। চলমান আন্দোলনও সফল হবে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. পিয়াস করিম বলেন, জাতীয়তাবাদী ধারা আন্দোলন সংগ্রামে আপনারা রাজপথে থাকলে আমরাও রাজপথে নামবো।
এসময় তিনি কাজী জাফর আহমদকে আন্দোলনের কারিগর আখ্যায়িত করে বলেন, জনগণের বিজয় হবেই হবে।
ঢাকা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেকুজ্জামান চৌধুরী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, রফিকুল হক হাফিজ, এড. মওলানা রুহুল আমিন, ছাত্রনেতা ফয়েজ আহম্মেদ।