রওশনের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, রওশনের সঙ্গে তার কোন দ্বন্দ্ব নেই। কেননা রওশন দুঃসময়ে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি (এরশাদ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আর রওশন সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান। দুইজন মিলে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছি।
শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে এক গণসংর্বধনা অনুষ্ঠানে এরশাদ এসব কথা বলেন।
এসময় তাকে ও স্ত্রী রওশনকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার না করতে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ করেন এরশাদ।
রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় এরশাদ স্থানীয় জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মুই তোমাক কি করি সম্বোধন করিম। তোমরা মুক বাঁচাইছেন। বিশ্বের কোথাও এমন নজির নাই, জেলত থাকি ৫টি আসন পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘সুখে-দুঃখে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমিও জীবনের শেষ পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’
এরশাদ বলেন, ‘অমার অনেক দুঃখ ছিল, আপনাদের কাছে এসে সব দুঃখ ধুয়ে মুছে গেছে। এখন কোন দুঃখ নেই। তিস্তায় পানি নেই, ধরলার পানিতে দুঃখ মুছে গেছে।’
এরশাদ বলেন, ৯০ সালের পর বিএনপি আমার বিরুদ্ধে ৭৪টি মামালা ঝুলে দিয়েছে। তারপরও কীভাবে স্বাভাবিক রাজনীতি করা যায়! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছি।
প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, উনি (হাসিনা) আমার বোন। তাই তাকে পীরগঞ্জ আসন ছেড়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাচনে বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে এরশাদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দল শক্তিশালী ছিল না। তাই স্থানীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো করতে পারেনি।
বৃহত্তর রংপুরের কথা উল্লে¬খ করে তিনি বলেন, প্রথমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২১ আসনে জয়ী হয়েছিল। পরে তা কমতে-কমতে একেবারে শেষ পর্যায়ে নেমেছে।
আগামী নির্বাচনে যেকোন মূল্যে হারানো আসনগুলো ফিরে আনার চেষ্টার কথাও বলেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
এসময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির লন্ডন শাখার সভাপতি তাজ চৌধুরী, আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন কাদেরী, নাজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।