1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন

ফেসবুকের ১০টি ব্যর্থ উদ্যোগ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪
  • ৯৬ Time View

বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য এনেছিল নানা উদ্ভাবনী ইন্টারফেস ও অ্যাপ। এর অনেকগুলোই নানা সমালোচনা, মামলা-মোকদ্দমা ও ব্যবহারকারী না পাওয়ায় বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সি নেট।
১. ফেসবুক বিয়েকন
বিজ্ঞাপনী প্রোগ্রাম ফেসবুক বিয়েকনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছিল ফেসবুক। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের পার্টনার ওয়েবসাইটের নিকট সরবরাহের উদ্দেশ্যও ছিল প্রতিষ্ঠানটির। এর ফলাফলে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের কারণে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ফলে ফেসবুক ভুল স্বীকার করে। এর পরও সমালোচনা অব্যাহত থাকলে ফেসবুক উদ্যোগটি বন্ধ করে দেয়।
২. ফেসবুক ক্রেডিটস
ফেসবুকের ভার্চুয়াল কারেন্সি ‘ফেসবুক ক্রেডিটস’-এর সঙ্গে ব্যবহারকারীদের পরিচিত করানো হয় ২০০৯ সালে। সাইটটির গেইমারদের জন্য এটি কার্যকর হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু এর পেমেন্ট সিস্টেমের জটিলতার কারণে অ্যাপ নির্মাতাদের বেশি আকর্ষণ করতে পারেনি। ২০১৩ সালের জুনে এ কারণে ফেসবুক ভার্চুয়াল কারেন্সি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়।

 
ফেসবুকের ১০টি ব্যর্থ উদ্যোগ

৩. ফেসবুক ডিলস
২০১১ সালের জানুয়ারিতে ফেসবুক চালু করে ফেসবুক ডিলস নামে শপিং সার্ভিসের। এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানীয় ব্যবসাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের বিভিন্ন অফার ফেসবুকে প্রকাশ করাই ছিল এ সার্ভিসের উদ্দেশ্য। তবে এতে ব্যবহারকারীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় ফেসবুক ডিলস বাদ দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর পরিবর্তে চালু হয় চেক-ইন ডিলস।
৪. ফেসবুক প্লেসেস
লোকেশন ডিস্কোভারি ও লোকেশন শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১০ সালে চালু হয় ফেসবুক প্লেসেস। বন্ধুদের সঙ্গে কোনো স্থানে ট্যাগিংয়ের ব্যবস্থাও ছিল এতে। এর মাধ্যমে গুগলের ম্যাপিং সার্ভিসকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। তবে দি প্লেসেস নামটি বাদ দিয়ে এ সার্ভিসকে ‘নিয়ারবাই’-এর সঙ্গে একীভূত করা হয়।
৫. ফেসবুক কোশ্চেনস
ফেসবুকের বন্ধুদের থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ফেসবুক কোশ্চেনস-এর সূচনা করা হয় ২০১০ সালে। তবে সার্ভিসটি ২০১২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৬. ফেসবুক গিফটস
২০১২ সালে ফেসবুক নতুন গিফট সার্ভিসের সূচনা করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বাস্তব উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হল বাস্তবে এসব গিফট দিতে ব্যবহারকারীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।
৭. ফেসবুক পোক
পোক আইফোনের জন্য একটি ফেসবুক অ্যাপ। এর ধারণা স্ন্যাপচ্যাট থেকে নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে খুব সহজ ও মজার উপায়ে হ্যালো বলা যেত বন্ধুদের। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে অ্যাপটি মুক্তি পায়। তবে এরপর এর জনপ্রিয়তা কমে যায়। সম্প্রতি মার্ক জাকারবার্গ একে সিরিয়াস প্রোডাক্টের বদলে রসিকতা বলেই অভিহিত করেছেন।
৮. ফেসবুক ক্যামেরা
চলার পথে ছবি শেয়ার করার জন্য ফেসবুক ক্যামেরাকে উপযুক্ত বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেছিল ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, আপনি অনেক ছবি একসঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন এর মাধ্যমে। এ ছাড়া আপনার বন্ধুদের সর্বশেষ ফটো সিঙ্গেল ফিডে দেখা যাবে। তবে সমস্যা হয়েছিল, অধিকাংশ মানুষই ফেসবুক ক্যামেরার বদলে নিজেদের ক্যামেরাই পছন্দ করছিল। আর ফেসবুকের আপলোডার দিয়েই ব্যবহারকারীরা সন্তুষ্ট ছিল। ফলে অ্যাপটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল না। কিন্তু ইন্সটাগ্রামের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। ফলে অ্যাপটি বন্ধ করে দিয়ে ফেসবুক ইন্সটাগ্রামকে কিনে নেয়।
৯. নিউ নিউজ ফিড
২০১৩ সালের মার্চে ফেসবুক চালু করে নিউ নিউজ ফিড। নতুন এ ডিজাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বড় ফরম্যাট ডিসপ্লে, ফটো ও বিজ্ঞাপন। কিন্তু নতুন এ ডিজাইনে ব্যবহারকারীদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে ভবিষ্যতের জন্য এটি সংরক্ষণ করে রাখে ফেসবুক।
১০. ফেসবুক লাইট
ধীরগতির ও কম ব্যান্ডউইথের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক লাইট চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ সার্ভিস চালু ছিল ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় আট মাস। এরপর ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের জানায় সার্ভিসটি বন্ধ করার কথা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ