1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
  • ১১৪ Time View

জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হয়েছে। শূণ্য থেকে ৫ বছরের শিশুকে ২ ফোটা পোলিও টিকা এবং ২ থেকে ৫ বছরের শিশুকে ১টি কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে।  শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে আনার সময় ভরাপেটে নিয়ে আসার জন্যে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি।

আগামী রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে ‘বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান’ কার্যক্রম। ওই চারদিন নির্ধারিত বয়সের বাদপড়া শিশুদেরকে খুঁজে পোলিও টিকা ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, টিকাদান কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সারাদেশে ১ লাখ ৪০ হাজার নির্দিষ্ট এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করবেন। যদি কোনো শিশু ১ মাসের মধ্যে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে থাকে, তবে সেই শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না। কান্নারত অবস্থায় শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না।

এ রাউন্ডেও ৫ বছরের কম বয়সী কোনো শিশু আগে জাতীয় টিকা দিবসে বা নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বা অন্য কোনোভাবে পোলিও টিকা খেয়ে থাকলেও তাকে পোলিও টিকা খাওয়াতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

জাতীয় টিকা দিবসে একটি শিশুও যেন পোলিও টিকা খাওয়া থেকে বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি রাউন্ডের পর ক্রমাগত ৪ দিন বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান কার্যক্রম ‘শিশু শিশু সকল শিশু, খুঁজে ফেরো প্রতি শিশু’ পরিচালনা করা হবে। মাঠকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের বাদপড়া শিশুকে খুঁজে বের করে পোলিও টিকা খাওয়াতে হবে।

গ্রামাঞ্চলে প্রতি ওয়ার্ডের ২টি সাব-বøকে ৪টি টিকাদানকারী দল কাজ করবেন। প্রতিটি দলে কমপক্ষে ২ জন সদস্য থাকবেন। একজন পোলিও টিকা খাওয়াবেন এবং একজন টালি ফর্ম পূরণ করবেন। এভাবে ৪ দিনে সম্পূর্ণ ওয়ার্ডের কাজ সম্পন্ন হবে।

একটি দল মাঠকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী, আরেকটি দল শিক্ষক এবং স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে গঠিত হবে। প্রতিটি দলে একটি করে ভ্যাকসিন ক্যারিয়ারের মধ্যে কমপক্ষে ২০ ডোজ পোলিও টিকা থাকবে।

গত ৭ জানুয়ারি পালিত কর্মসূচির প্রথম রাউন্ডে অনেক শিশুর বাদপড়ার এবং কর্মীদের ‘বাদপড়া শিশু অনুসন্ধান’ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে শক্তিশালী মনিটরিং কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে  সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক জানান, ইপিআই কার্যক্রমের পেছনে সরকার প্রতি বছর ৮০ কোটি টাকা ব্যয় করছে। গত দশ বছরের মধ্যে মাত্র এক বছরে দেশে পোলিও রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া গত ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত রয়েছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী গত বছর নির্ধারিত বয়সের শতভাগ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ