1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

‘জঙ্গী দলে পরিণত হয়েছে ১৮ দল’

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩
  • ৬৭ Time View

mhasanআওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “১৮ দল হরতাল ডেকে জনগণকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী দলে পরিণত হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে তারা রাজনীতিবিদ নয় তারা হত্যাকারী। হত্যাকারীদের বাংলার জনগন পছন্দ করে না। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা এ সমস্ত দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।”

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হরতাল বিরোধী এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি হরতাল করতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে সন্ত্রাসী, ছিঁচকা চোর এবং সন্ত্রাসীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। যারা দেশজুড়ে নাশকতা করছে।”

তিনি আরো বলেন, “বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তাই তারা গণতন্ত্রের ভাষা বুঝে না। আসলে তারা যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চায়।”

যারা দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে জনগণের ক্ষতিসাধন করছে তাদের প্রতি জনসচেতনতা তৈরি করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি আরো বলেন, “বিরোধী দলের নেত্রী ও বিরোধী দলের নেতারা হরতালের ডাক দিয়ে সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। তারা রাজপথে নেই। বাংলার জনগণ এই জ্বালাও-পোড়াও হরতাল প্রত্যাখান করেছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশ বিরোধী। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হওয়া প্রয়োজন।”

“বিরোধীদলীয় নেতারা গণতন্ত্র আইনের শাসন বিশ্বাস করে না।  তারা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বন্দুকের নলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, “তাদের রাজনীতি হচ্ছে য্দ্ধুাপরাধীদের রক্ষা করা ও যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় পুনর্বহাল করা। আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ অবস্থায় পরিণত হবে।”

হুমকি বন্ধ করে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “বোমা মেরে, মানুষ মেরে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে একদিন বাংলার জনগণ তাদেরকে ঘেরাও করে বিচার করবে। বাংলার মাটিতে আর কোনো জঙ্গীবাধের স্থান হবে না। বোমাবাজদের স্থান হবে না।”

বিরোধীদলের নেতাকে মানুষ হত্যা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। তা না হলে বাংলার মাটিতে আপনার স্থান তো হবেই না; বরং আপনার স্থান হবে পাকিস্তানে। কারণ আপনি মনে প্রাণে পাকিস্তানি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করেন না।”

“৭১ সালে আপনি (খালেদা জিয়া) পাকিস্তানে ছিলেন তাই ৭১’র পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত, জঙ্গীবাদ মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ও দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানা। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোর্দ্দার, ঢাকা পরিষদ প্রশাসক নারীনেত্রী আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক হাসিনা দৌলা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম.এ করিম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, পারুল আখতার লোপা শেখ নওশের আলী, রোকন উদ্দিন পাঠান, মোমিন মেহেদী।

সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা’র নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রদক্ষিন করে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ