1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

ফেসবুকে ছবি-ভিডিও নিয়ে নতুন বিতর্ক!

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩
  • ১১৬ Time View

Facebook1হিংসা ছড়াচ্ছে ফেসবুক’, এবার তেমন অভিযোগই উঠেছে জনপ্রিয় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটির বিরুদ্ধে। নৃশংস কোনো ভিডিও এই সাইটে কিছু দিন আগ পর্যন্তও আপলোড করা যেত না। কিন্তু প্রায় নিঃশব্দে ফেসবুক সেই শর্ত সরিয়ে দিয়েছে। এখন চাইলে ১৩ বছরের কিশোর বা কিশোরী থেকে শুরু করে যে কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারী কারো মাথা কেটে দেওয়ার মতো হিংসাত্মক ভিডিও সাইটে দেখতে পারে। আর সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে।

তিনি বলেন, “মানুষের মাথা কাটার মতো ভিডিও পোস্ট করার অনুমতি দিয়ে ফেসবুক দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছে। বিশেষ করে তাতে কোনো সতর্কতাও রাখা হচ্ছে না। এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, উদ্বিগ্ন বাবা-মায়ের কাছে ওদের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।”

গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে ফেসবুকের এক ব্যবহারকারীর মাধ্যমে। গত সপ্তাহে তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখেছিলেন, যাতে এক জন মুখোশ পরা ব্যক্তি এক মহিলার মাথা কেটে ফেলছে। ভিডিওটির শিরোনামে লেখা: ‘চ্যালেঞ্জ: এনিবডি ক্যান ওয়াচ দিস ভিডিও?’ বীভৎস ক্লিপিংটি দেখার পরে তিনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছিলেন বিষয়টি।

কিন্তু মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা তাতে সাড়া দেয়নি। উল্টে একেবারে নিঃশব্দে এমন হিংস্র ভিডিও আপলোডে যে বাধা ছিল, সেটাই তুলে দিয়েছে সংস্থা। ওই ব্যবহারকারী পরে বলেছেন, “এটা ভয়ঙ্কর। ভীষণ কুরুচিকর। সরিয়ে দেওয়া উচিত। অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়ে এটা দেখতে পাবে। আমার ২৩ বছর বয়সেও ওই ভিডিওর কয়েক সেকেন্ড দেখে অস্বস্তি হচ্ছিল।”

এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের বক্তব্য:

তাদের শর্তাবলি এখন জানান দিচ্ছে, যে সব ফোটো বা ভিডিও হিংসায় উস্কানি দেয়, তা সাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তা হলে এমন ভিডিও পোস্ট করতে দেওয়া হচ্ছে কেন? সংস্থার এক মুখপাত্রের জবাব, “ফেসবুকে মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। আলোচনা হয় বিতর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে। সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন বা সন্ত্রাস সংক্রান্ত ঘটনাও হতে পারে।”

তার মতে, “এই ধরনের ভিডিও পোস্ট করার অনুমতি দেওয়া হয় নিন্দা বা সমালোচনার জন্যই। কিন্তু যদি দেখা যায় কেউ হিংসার ঘটনা প্রশ্রয় দিতে ভিডিও আপলোড করেছে, তখন বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।”

এ ধরনের ভিডিওতে কারো আপত্তি থাকলে তাদের যাতে সেটা দেখতে না হয়, তার জন্য ওই ভিডিও দেখানোর আগে আগাম সতর্কতা রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান ওই মুখপাত্র। বাক স্বাধীনতার বিষয়টি তুলে এনে কেউ কেউ বলছেন, “ছোট ছেলেমেয়েরা ইন্টারনেটে কী দেখবে, সেটা তাদের বাবা-মায়ের মাথাব্যথা। ফেসবুকের নয়।”

তবে ফেসবুক নিন্দা বা সমালোচনার যুক্তিতে এ ধরনের ভিডিও আপলোডের পক্ষে যুক্তি দেওয়ায় অনেকেই বিরক্ত। তারা প্রশ্ন তুলছেন, কেউ কারো মাথা কেটে দিচ্ছে এমন দৃশ্য না দেখে সেটার সমালোচনা কি করা যায় না?”

“তারা মনে করচ্ছেন, ২০০২ সালে মার্কিন পত্রিকার সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। তখন তো গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যম সেই ভিডিও প্রচারে নেমে পড়েনি, তাতে কি ওই ঘটনার সমালোচনা হয়নি?”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ