1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

কিডনি বিক্রির জমজমাট ব্যবসা, আইনের ফাঁক থাকায় দমানো যাচ্ছে না দালাল চক্রকে!

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
  • ৮২ Time View

kidniজয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে অভিনব কৌশলে কিডনি বিক্রির ব্যবসা। পূর্বে এ ঘটনা নিয়ে অনেক তোলপাড় হলেও আবরো নতুন করে ১৮ জনের কিডনি বিক্রির সন্ধান পাওয়া গেছে।

গত ছয় মাসে নতুন করে কিডনি বিক্রি করেছেন এমন কয়েকজনের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্রে নানা অসঙ্গতিও দেখা গেছে।

এদের একজন হলেন কালাই উপজেলার উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা আজাদুল। পাসপোর্টে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে মো. আজাদ হোসেন। ঠিকানা দেখানো হয়েছে জাপান গার্ডেন সিটি, বাংলাদেশ-০১।

অন্যজন হলেন কালাই উপজেলার বোড়াই গ্রামের বাসিন্দা জোছনা বেগম। পাসপোর্ট ও ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্রে তার নাম লেখা হয়েছে মাহফুজা বেগম। স্থায়ী ঠিকানা দেখানো হয়েছে সালামাইদ, গুলশান, ভাটারা, ঢাকা-১২১২।

জানা গেছে, প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় নতুন দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলে কিডনি কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। আগের চেয়ে বেশি দামে কিডনি কেনার লোভ দেখানো হচ্ছে।

ঐ এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিডনি বিক্রি দালালচক্রের মূল হোতা কালাই উপজেলার আবদুস সাত্তার, ঢাকার তারেক আজম ও বাগেরহাটের সাইফুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নতুনভাবে কিডনি কেনাবেচার দালালি শুরু করেছেন কালাই উপজেলার টাকাহুত গ্রামের শাহীন, জয়পুর বহুঁতি গ্রামের আবদুল মান্নান, নারায়ণগঞ্জের মকবুলসহ আরও কয়েকজন। আগে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হতো দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু বর্তমানে কিডনি বিক্রেতারা দেশের বাইরে বিশেষত, ভারতের ব্যাঙ্গালোরে কলম্বো এশিয়া হাসপাতাল ও সিঙ্গাপুরে তাদের কিডনি প্রতিস্থাপন করাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট কালাই উপজেলায় দালালদের ফাঁদে পড়ে তাদের কিডনি বিক্রির খবর প্রকাশ হয়। ওই ঘটনায় ১০ দালালকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে আইনের ফাঁক দিয়ে গ্রেফতার হওয়া ওই সব দালাল জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসেছে।

কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অভাবী মানুষরা কিডনি বিক্রির জন্য এমন ভয়ঙ্কর পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। দালালদের খপ্পরে পড়ে স্বেচ্ছায় অঙ্গহানির পর তারা বাড়ি ফিরছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ