1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

তথ্যমন্ত্রীর বাসায় হাতবোমা বিস্ফোরণ করেছে ছাত্রদল: গ্রেফতার ২

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৩
  • ১০৩ Time View

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বাসায় হাতবোমা বিস্ফোরণে সন্ত্রাসী হামলার রহস্য উদঘাটন করার দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মো. মাহবুবুল আলম ওরফে মাহবুব (২৮) ও মো. আকিল মাহমুদ ওরফে আকিলকে (৩২) গ্রেফতার করেছে তারা।

সোমবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বেইলী রোড ও রূপনগর থানা এলাকা থেকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বোমা হামলার ঘটনায় যাতায়াতে ব্যবহৃত ১টি টিভিএস মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যকেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কশিনার মনিরুল এ বিষয়ে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ও অন্যান্য নেতাদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা দাবি করেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের সম্পৃক্ততা, সহযোগীদের নাম প্রকাশসহ হাতবোমা হামলার ঘটনার সবিস্তার বর্ণনা করে। তারা স্বীকার করে যে, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, মন্ত্রীর বাসায় নিয়োজিত পুলিশ গার্ডকে ভীত-সন্ত্রস্ত্র ও ঘটনার পরের দিন আহুত হরতাল সফল করার জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা কয়েকজন পরস্পর যোগসাজসে হাতবোমা হামলা করেছিল।

গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হাই-কমান্ডের নির্দেশে উপরে বর্ণিত হাতবোমা হামলার ঘটনা সংঘটিত করে। তারা ৪টি  স্তরে বোমা হামলাটি সংঘটিত করেছে বলে জানায়। স্তরগুলো হলো-

পরিকল্পনা স্তর : জাতীয়তাবাদী ছ্বাত্রদল কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তর শরিফ উদ্দিন জুয়েল ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হরতাল সফল করার নিমিত্তে এই হাতবোমা হামলার পরিকল্পনা করে।

অপারেশনাল স্তর : ছাত্রদলের হাই-কমান্ডের নির্দেশে তিতুমীর সরকারী কলেজের ছাত্র বলে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী গ্রেফতারকৃত মাহবুবুল আলম ওরফে মাহবুব তার সহযোগী মাসুদ, রবিন ও মিম দুইটি মোটরসাইকেল যোগে বর্ণিত হাতবোমা হামলার ঘটনা ঘটায়।

অপারেশন তদারকি স্তর : ছাত্রদলের হাই-কমান্ডের নির্দেশে গ্রেফতারকৃত মোঃ আকিল মাহমুদ ওরফে আকিল ও তার সহযোগী ফিরোজ এই হাতবোমা হামলার ঘটনার অপারেশন তদারকি করে।

অন্যান্য সহায়তাকারী : আরও কয়েকজন (তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে) প্রশাসন ডিউটি (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি লক্ষ্য করে তথ্য সরবরাহকরণ) পালন করে।

গ্রেফতারকৃত মাহবুবের বাড়ী পাবনা জেলায়। সে সরকারী তিতুমীর কলেজ হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছে। বিএনপির গুলশান অফিসের সিও ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিনের প্রাইভেট সেক্রেটারি মাহবুব। মাহবুব সরকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।

অপর গ্রেফতারকৃত আকিল মাহমুদ ওরফে আকিল সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স করছে। সে ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিনের ব্যবসায়ী ফার্মে প্রটেনশিয়াল কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত।

আকিল বিএনপির গুলশান অফিসের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও প্রোগ্রাম সম্পর্কিত দায়িত্ব পালন করে। সে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তার গ্রামের বাড়ী ফেনী জেলায়। ঘটনায় জড়িত অন্যদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদেরকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

ককটেল রহস্য : দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানুষ, পুলিশ ও কেপিআইসমূহে হাতবোমা হামলা হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এর রহস্য উদ্‌ঘাটন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। অবশেষে গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি ও দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত হাতবোমা হামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়।

গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, হতাবোমাকে তারা ছদ্ম নামে আলু হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই আলুর (বোমা/ককটেল) উৎস্য তিতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফজলে রাব্বি হল। তারা পুরান ঢাকা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের উক্ত হল থেকে হাতবোমা তৈরির উপাদান সংগ্রহ করে উল্লেখিত কলেজের ছাত্রাবাসসমূহে হাতবোমা তৈরি করে থাকে।

হিমেল হতাবোমাসমূহ হাই-কমান্ডের নির্দেশে চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্যদের গ্রেফতার করার জন্য সব ধরনের পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন দুপুর সোয়া দুইটার দিকে অজ্ঞাতনামা চার দুষ্কৃতিকারী ২টি মোটর সাইকেলযোগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ১৩৭ দারুসসালাম ঢাকার বাসায় ৩টি হতাবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এর ঘটনায় দারুসসালাম থানায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরণ উপাদানাবলি আইনের ৩/৬ ধারায় মামলা (নং ১৩, তারিখ-০৯-০৬-২০১৩) দায়ের হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ