1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

রানাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৩
  • ১৪৩ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের ধসে পড়া ভবন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার মালিকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ কথা জানিয়েছেন।
ইউএনবির খবরে বলা হয়, ‘রানা প্লাজা’র মালিক যুবলীগের নেতা সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও পুলিশ তাঁকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় দুটি মামলা করেছে। রাজউকের মামলায় রানা একাই আসামি। আর পুলিশের মামলায় রানা ছাড়াও তাঁর বাবা আবদুল খালেক, ধসে পড়া ভবনের পোশাক কারখানার মালিক আমিনুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান, বজলুস সামাদ আদনানসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এদিকে দফায় দফায় চেষ্টা করেও রানা প্লাজার পাঁচ পোশাক কারখানার মালিকদের পাওয়া যায়নি। গতকাল দুপুরে বিজিএমইএর নেতাদের দিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তাঁদের ফোনগুলো বন্ধ ছিল। তবে তাঁদের সঙ্গে বিজিএমইএর সহসভাপতি আবদুল মান্নান কচির যোগাযোগ হয়েছে বলে গত রাতে জানান সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাঁদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, যাতে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধসহ সার্বিক কাজে তাঁরা এগিয়ে আসেন।
পাঁচটি পোশাক কারখানার মধ্যে নিউওয়েভ বটমস ও নিউওয়েভ স্টাইলের মালিক হচ্ছেন বজলুস সামাদ আদনান, মাহবুবুর রহমান তাপস ও দেলোয়ার হোসেন। ফ্যানটম অ্যাপারেলস ও ফ্যানটম ট্যাকের মালিক হচ্ছেন আমিনুল ইসলাম, জাফর আহমেদ ও স্পেনের ডেভিড মেয়র। ইথারটেক্সের মালিক হচ্ছেন আনিসুর রহমান।
নিউওয়েভের আরও একটি কারখানা রানা প্লাজায় ছিল। সেটির নাম নিউওয়েভ অ্যাপারেলস। এটি বছর খানেক আগে রাজধানীর মিরপুর-কল্যাণপুরে স্থানান্তর করা হয়।
ভবনের মালিক ও পোশাক কারখানার মালিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন, জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জি বলেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতিতে সোহেল রানার গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা না থাকলেও তরতর করে বনে যান রাজনীতিবিদ। সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের সাহচর্যে হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। একপর্যায়ে তাঁকে দেওয়া হয় পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ। হরতালবিরোধী মিছিল, সাংসদের জনসভা, সরকারি সম্পদের ইজারা—এসব কাজে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য। জমি ব্যবসার নামে নিরীহ লোকজনের জমি দখলের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত বুধবার ভবন ধসের আগেও হরতালবিরোধী মিছিল করার জন্য লোক জড়ো করেছিলেন রানা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ