1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

মেয়ের বিয়েতে যৌতুক ১০ কোটি পাউন্ড

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৩
  • ১০৩ Time View

প্রাচ্যের দেশগুলোতে মেয়ের বিয়েতে পিতার হাত ভরে যৌতুক দেয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ঠিক কবে থেকে এ প্রথা চালু হয়েছে সেটা জানা না গেলেও অত্যন্ত আদিম এ প্রথা অত্যাধুনিক সমাজেও বেশ সগৌরবে বহাল রয়েছে। এ যৌতুকের কারণে অনেক নারীকেই শ্বশুর বাড়িতে অকালে প্রাণ দিতে হয়। অনেক সময় প্রাণপ্রিয় স্বামীই হয়ে ওঠেন ঘাতকরূপী দানব। কিন্তু এবার দু’হাতে যৌতুক দিয়ে সমাজে বিশেষ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন চীনের এক ব্যবসায়ী। উউ রুইবিয়াও নামের ওই ব্যবসায়ী মেয়ের বিয়েতে বরকে ১০ কোটি পাউন্ড মূল্যের যৌতুক দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। এ যৌতুকের মধ্যে রয়েছে চার বাক্স স্বর্ণের গহনা, ২০ লাখ পাউন্ড জমা দেয়া ব্যাংক নোট এবং ভূসম্পত্তির দলিল। আট দিনের মহাসমারোহের অনুষ্ঠান শেষে যৌতুক হিসেবে দেয়া সমুদয় এসব সম্পদের ছবি রোববার অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে জিংজিয়াং কাউন্টির সিজাও শহরে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সিরামিক কোম্পানি ফুজিয়ান ওয়ানলি গ্রুপের চেয়ারম্যান উউ রুইবিয়াও মেয়ের বরকে দেয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে কুয়ানঝুতে একটি রিটেইল স্টোর, অলিম্পিক ভিলা এবং ওয়ান্ডা ম্যানশন। নবদম্পতিকে তিনি সিরামিক কোম্পানির এক কোটি পাউন্ড মূল্যের ৫০০ মিলিয়ন শেয়ারও দিয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে, ১৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের অর্থ তিনি দু’টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দানও করেছেন। সৌভাগ্যবান সেই বরটি হচ্ছেন জিউ। সরকাারি কর্মকর্তা জিউ সেই কিন্ডারগার্টেনে পড়ার সময় থেকেই তার নববধূকে জানতেন। উউ’র কোম্পানির একজন মুখপাত্র এ বিপুল অঙ্কের যৌতুক দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দীর্ঘ আটদিনব্যাপী বিয়ের অনুষ্ঠান চলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ইটারনেটে পোস্ট করা এ তথ্যের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, উউ আসলে সবকিছু খুব সাধারণভাবে করতে চান। ইন্টারনেটে পোস্টে বলা হয়েছে, গত ২৮শে ডিসেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর অতিথিদের আপ্যায়ন করতে দীর্ঘ আট দিন ধরে সেটা চলছে। সাউথ চায়না মনিং পোস্ট জানিয়েছে মেয়ের বিয়েতে দু’টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দান করায় অনেক পাঠকই উউ’র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ফুজিয়ান অঞ্চলে বিয়েতে মূল্যবান যৌতুক দেয়ার বিষয়টি ঐতিহ্যগতভাবে চলে আসছে। এ বিষয়টাকে অনেক সময় লিঙ্গ সমতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, মূল্যবান যৌতুক দেয়ার ফলে কনে স্বামীর বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের কাছে অধিক সম্মান অর্জন করবে বলে মনে করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ