শিল্পমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন রাজশাহী সাম্যবাদী দলের নেতৃবৃন্দ

শিল্পমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন রাজশাহী সাম্যবাদী দলের নেতৃবৃন্দ

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এখলাসুর রহমানকে হত্যা, নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তিসহ নানা অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন রাজশাহীর নেতারা। গতকাল রাজশাহী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নিজেকে কমিউনিস্ট  হিসেবে দাবি করলেও দিলীপ বড়ুয়া এখন পথভ্রষ্ট। সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা বলেন, ১৯৭৩ সালের ১১ই ডিসেম্বর রাজশাহীর তানোরে দলের ৪৪ জন কমরেডকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এই শহীদদের মর্যাদা দেননি, এমন কি কখনও তানোরেও আসেননি। এই দিনটিকে বিপ্লবী শহীদ দিবস হিসেবে পালনের ব্যাপারেও কোন উদ্যোগ নেননি তিনি। তাছাড়া, শহীদ পরিবারগুলো চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন পার করছে। কিন্তু তাদের কোন খোঁজখবর রাখেন না। দিলীপ বড়ুয়াকে ‘চরম সুবিধাভোগী’ আখ্যা দিয়ে তারা আরও বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না তিনি। দিলীপ বড়ুয়া দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে আছেন এমন অভিযোগ এনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ জানান, শত শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই দলটি এখন তার ‘পকেট পার্টি’ হিসেবে পরিচালিত করছেন। দলে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তারা বলেন, সমালোচনা করায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড নুরুল ইসলামকে পলিট ব্যুরো থেকে দিলীপ বড়ুয়া অপসারণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য কমরেড এরশাদ আলী, কমরেড কাবিল উদ্দিন, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড ওসমান গনি, কমরেড বাসন্তী রাণী, কমরেড সাজ্জাদ আলী, কমরেড নওশাদ আলী ও কমরেড গোলাম মর্তুজা মুরাদ। এদিকে, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের রাজশাহী জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড মাহবুবুর রহমান বলেন, ৫ সদস্যবিশিষ্ট রাজশাহী মহানগর কমিটির সবাই ও জেলা কমিটির ৯ জনের মধ্যে ৭ জনই এসব অভিযোগের সঙ্গে একমত। আমরা অসংখ্যবার এসব অভিযোগ নিয়ে দলীয় সভায় আলোচনার চেষ্টা করেও কোন ফল পাইনি। তিনি অবিলম্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রিসভা থেকে দিলীপ বড়ুয়া পদত্যাগ দাবি করেন।

অন্যান্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর