1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ ব্যাংক

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২
  • ১১৫ Time View

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অযৌক্তিকভাবে তাকে দিতে হচ্ছে বিশেষ ছাড়। নতুন অনুমোদন নেওয়া ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে নিজেকে বহাল রেখে চূড়ান্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন তিনি। অথচ ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনোভাবেই এটা সম্ভব নয়। এতে বিব্রত বাংলাদেশ ব্যাংক। খবর বাংলানিউজের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মন্ত্রী বলে কথা। বুঝতে পারলাম না, কেন তিনি এটি করলেন। তবে আমরা এখনই তাকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে চাইছি না। একেবারে চূড়ান্ত পর্বে তাকে শর্ত দিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হবে। সেখানে বলা হবে, মন্ত্রিত্ব রাখবেন নাকি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থাকবেন। ওই কর্মকর্তা জানান, চূড়ান্ত লাইসেন্সের জন্য পাওয়া আবেদনগুলো বাছাইয়ে যেসব ভুল-ত্রুটি এবং অসামঞ্জ্যতা পাওয়া গেছে সেগুলো সংশোধনে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাছাই পর্বেই ব্যাংকটিতে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের চেয়ারম্যান থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। নিয়ম মোতাবেক তাকে চিঠি দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

সূত্র মতে, দ্য ফারমার্স ব্যাংকের চূড়ান্ত লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে চেয়ারম্যান হিসেবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকেই বহাল রাখা হয়েছে। তবে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে তিনি থাকছেন না। নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স চূড়ান্ত করতে আরও কয়েক মাস গেলে যাবে। সব কাজ শেষ করে আগামী এপ্রিল মে মাসের আগে কোনোভাবেই হয়তো নতুন ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন না। এখন জমাকৃত আবেদন নানা পর্যায়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। উদ্যোক্তাদের আয়কর তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে। সেখানে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে। এর বাইরে আরও বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এ মুহূর্তে চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীকে ঝামেলায় ফেলতে চায় না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিব্রত। বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর জেনেও না জানার ভাব করছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।

নিয়মানুযায়ী চেয়ারম্যান বা পরিচালকরা ব্যাংক থেকে সম্মানীসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন। একজন চেয়ারম্যানের জন্য একটি নির্দিষ্ট অফিস থাকে। যেখানে তিনি একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাও পান। তার জন্য ব্যাংক একটি গাড়ি সরবরাহ করে এবং এর পরিচালনা ব্যয়ও সেখান থেকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে বোর্ড মিটিংয়ে বা এঙ্চেঞ্জ হাউসের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে যাতায়াত, হোটেল ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ ব্যাংক থেকে বহন করা হয়। তা ছাড়া বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত হলে সম্মানী পান। এসব বিবেচনায় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদটি লাভজনক হিসেবেই বিবেচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ