২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় বার্ষিকী উদযাপন

২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় বার্ষিকী উদযাপন

এইমাত্র ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয়ের দিন পালন করা শুরু হলো।

প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ ও পরিদর্শন করলেন। আজ আবার ফিরে এসেছে বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ২৫শে মার্চের গণহত্যার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। সমগ্র বাঙালি জাতি দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রমনার রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও যুদ্ধে আগাগোড়া সক্রিয় সহায়তাকারী ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করে বিধ্বস্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় বাংলাদেশের।

৪১তম বার্ষিকীতে বিজয়ের দিনটি উদযাপনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

সকালে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

দিনটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও পবসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় হয়েছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। রাজধানী ঢাকা ও পদশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রঙ-বেরঙয়ের পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে।

জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসানালয়ে হবে মোনাজাত ও প্রার্থনা। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশুপরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোয় উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হবে।

বিজয়ের এই দিনটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “বর্তমান সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে ‘ভিশন ২০২১’ ঘোষণা করেছে। আমাদের বিপুল মানবসম্পদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এ ‘ভিশন’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতির দীর্ঘ তেইশ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত ফসল ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।”

“বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।”

শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বাণীতে।

বিজয়ের দিনের কর্মসূচি

দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুচকাওয়াজে নেবে।

প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ ও পরিদর্শন করবেন।

রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সালাম গ্রহণ করে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি এবার কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।

এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা, পোস্টার প্রদর্শনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি দিয়েছে।

অন্যান্য আন্তর্জাতিক জেলা সংবাদ বাংলাদেশ বিনোদন রাজনীতি শীর্ষ খবর