1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজা যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপ শুরুর ঘোষণা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল কোনো ছাড় নয়, ইউক্রেনকে ডনবাস ছাড়তে হবে নয়তো শক্তি প্রয়োগে স্বাধীন করব কেউ কেউ জুলাইয়ের স্পিরিটকে বিক্রি করে দিচ্ছে : শিবির সভাপতি ঢাকায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ সারা দেশে দোয়া প্রার্থনা ফাঁকা আরো ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ জুবাইদা রহমান কাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন : মাহদী আমিন মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১২
  • ১৬২ Time View

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আলবদর-রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় এদিন নারকীয়ভাবে হত্যা করেছিল এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের ঠিক দুই দিন আগে দিশাহারা হানাদার বাহিনী পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে দেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে
দেশ হারিয়েছিল তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীদের। আজ পুরো জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে সেসব সূর্যসন্তানকে; যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, আমরা পেয়েছি স্বাধীন মানচিত্র। লাল-সবুজের পতাকা। ১৪ই ডিসেম্বর চারদিকে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের রব, ঠিক তখনই পাকিস্তানি ঘাতকরা মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষ ভট্টাচার্য, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, আবুল খায়ের, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, মনিরুজ্জামান, আনোয়ার পাশা, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, রশিদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, ডা. আলীম উদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, নাজমুল হক, খন্দকার আবু তালেব, ডা. আমির উদ্দিন, সাইদুল হাসান প্রমুখ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এছাড়া আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যায় হানাদাররা। চালানো হয় পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর। তবে পরাজয়ে বাধ্য হওয়ায় তারা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। স্বাধীনতার ৪১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবী কৃতী সন্তানদের অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেন, জাতির সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীরা দেশের বিভিন্ন সঙ্কটে জাতিকে বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের সৃষ্টিশীলতা ও অসামপ্রদায়িক চিন্তা-চেতনা আমাদের দৃপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখায়। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য, বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এদেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতিকে মেধাহীন করাই ছিল তাদের হীন উদ্দেশ্য। এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে  জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নতুন প্রজন্ম একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাঙালি জাতির মহান মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর অধ্যায়। পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা। এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের ফলে জাতি হারায় তার মেধাবী সন্তানদের।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হামলা চালিয়েছে মুক্তমনা শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের ওপর। এসব হত্যাকাণ্ড  ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। বাংলার মাটিতে তাদের অপকর্মের বিচার হবেই। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের কর্ম, আদর্শ ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে জাতির জীবনে চিরদিন অম্লান হয়ে বেঁচে থাকবেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনওই বিস্মৃত হবে না। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৮টায় প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাদের প্রস্থানের পর সকাল ৭টায় সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্যোদয়ের ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশের সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সকাল সোয়া ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলের কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দলের সব শাখা, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ