1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন

দুজনের সনদ বাতিল, তিনজন স্থায়ী বহিষ্কার

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১২
  • ৯৭ Time View

১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের সময় বিশ্বজিৎ দাস নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন দুই ছাত্রের সনদ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তিন ছাত্রকে। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সনদ বাতিল হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীরা হলেন: বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্র মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ ও দর্শন বিভাগের সাবেক ছাত্র মো. ইমদাদুল হক।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. ওবাইদুল কাদের।
গত রোববার ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের সময় সকাল নয়টার ঠিক আগে ঢাকা জজকোর্ট এলাকা থেকে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থিত আইনজীবীরা একটি মিছিল বের করলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করেন। এর কয়েক মিনিট পর ভিক্টোরিয়া পার্কসংলগ্ন একটি তেলের পাম্পের কাছে দুটি ও শাঁখারীবাজারের দিকে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় ঋষিকেশ দাস লেনের বাসা থেকে বিশ্বজিৎ দাস শাঁখারীবাজারে নিজের দরজির দোকানে যাচ্ছিলেন। ককটেল বিস্ফোরণের সময় আরও অনেকের সঙ্গে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পেট্রলপাম্প-সংলগ্ন একটি ভবনের দোতলায় ইনটেনসিভ ডেন্টাল কেয়ার নামের বেসরকারি ক্লিনিকে আশ্রয় নেন। পিছু পিছু ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীও যান সেখানে। ওপরে উঠেই বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকেন ছাত্রলীগের কর্মী শাকিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওবাইদুল কাদের। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে নিচে চলে এলে সেখানে বিশ্বজিৎকে ছাত্রলীগের কর্মী নূরে আলম, মাহফুজুর রহমান, ইমদাদুল হকসহ ১০-১২ জন রড-লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
পথচারীদের কেউ কেউ বিশ্বজিৎকে পাশের ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে এতেও বাধা দেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এরপর প্রাণ বাঁচাতে আবার দৌড়ে বিশ্বজিৎ শাঁখারীবাজারের একটি গলিতে গিয়েই ঢলে পড়ে যান। পরে বিশ্বজিৎকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পর মারা যান বিশ্বজিৎ।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর দাবি করেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কেউই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত নন। যাঁরা আছেন, তাঁরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। বিশ্বজিৎ ছাত্রলীগের তথাকথিত কর্মী বলেও তাঁর দাবি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ