1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ন

‘ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরাই বিশ্বজিতের হত্যাকারী’

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১২
  • ১২৮ Time View

অবরোধের সময় পুরান ঢাকায় পথচারী বিশ্বজিতের হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী নয় বলে দাবি করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরাই বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাছান মাহমুদ বলেন, “ বিএনপি লাশের রাজনীতি করার জন্য বিশ্বজিতের মতো সাধারণ মানুষকে দুষ্কৃতকারী লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করেছে। বিশ্বজিৎকে যারা হত্যা করেছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী নয়, তারা ছিলো ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।”

গত ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে অবরোধ সমর্থক ও বিরোধীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর কয়েকজন যুবকের পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাঁখারিবাজারের দর্জির দোকানি বিশ্বজিত দাস।

পরদিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই হামলা চালায়। সেদিন যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের কয়েকজনের ছবি ও পরিচয়ও প্রকাশ করে পত্রিকাগুলো।

বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের দুইজনের পরিচয় ইতোমধ্যে পুলিশ উদ্ঘাটন করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এদের একজন ওবায়দুল কাদের আগে শিবিরের কর্মী ছিল। তার পিতা হাতিয়ার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং জামায়াত নেতা। তার বড় ভাই তফছির হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের নেতা।”

বিশ্বজিতকে পেটানোর ঘটনায় গণমাধ্যেমে চিহ্নিত রফিকুল ইসলামের পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন “তার বাড়ি পটুয়াখালী। সে পূর্বে ছাত্রদল করত। তার বড় ভাই শাহীন যুবদল নেতা।”

“কাজেই এরা সবাই যে অনুপ্রবেশকারী ছিল এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপি জামায়াতের স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন কাজ করেছে এটা পরিষ্কর।”

পত্রিকায় হামলাকারী হিসেবে কমপক্ষে ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়। বাকিদের পরিচয় সম্পর্কে মন্ত্রী কিছু বলেননি।

এরই মধ্যে বিশ্বজিতকে হামলার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। সনদ বাতিল করা হয়েছে দুই জনের।

মন্ত্রী জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “একজন আইন বিশেষজ্ঞের সাথে বিচারপতি নিজামুল হক আইনি পরামর্শের জন্য যে আলাপ করেছেন তা অপরাধ নয়। অপরাধ হতো, যদি তিনি সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের কারো সাথে আলাপ করতেন।”

স্কাইপে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথিত কথোপকথন নিয়ে বিতর্কের মুখে বুধবার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন বিচারপতি নিজামুল হক।

যারা স্কাইপ ‘হ্যাক’ করে কথোপকথন প্রকাশ করেছে তারা সাইবার অপরাধ করেছে- এমন মন্তব্য করে তাদের বিচার করার দাবি জানান মন্ত্রী।

“বিচারপতি পদত্যাগ করে তিনি বদান্যতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থাকে তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি করতে চাননি। এজন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ