1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জে ‘ঘুষের’ ১০ লাখ টাকাসহ সড়ক বিভাগের পিয়ন আটক

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৯ Time View

গোপালগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে ১০ লাখ টাকা ও শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিয়নসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়। রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া গ্রুপে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য ঘুষ হিসেবে পিয়ন এ টাকা এনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আটকরা হলেন—শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিয়ন এবং মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর খসরু গ্রামের মৃত কালু মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন (৬০) ও প্রাইভেট কারচালক শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব ব্যাপারীর ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইন্স মোড়ে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-০৭-৬৮৪১) থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে ও ২টি খামে মোট ১০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাইভেট কারের আরোহী মোশারফ হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় পু‌লি‌শের সন্দেহ হয়।

এক পর্যায়ে তিনি এ টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনকে (সরকারি কর্মকর্তা) দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের এতে সন্দেহ হলে উল্লেখিত প্রাইভেট কার ও টাকা তারা জব্দ করেন। এসময় পিয়ন ও ড্রাইভারকে আটক করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় বুধবার রা‌তে পু‌লি‌শের পক্ষ থে‌কে মামলা দা‌য়ের হ‌য়ে‌ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য ওই টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে দেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল। এখন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিকরুল ইসলাম কৌশলে এ ঘটনার দায় নিরপরাধী সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এতে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি।

আজ বৃহস্পতিবার ওই দুজনকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ‌্যমে জেল হাজ‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ