ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে পরপর দু’দিন রকেট হামলা

ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে পরপর দু’দিন রকেট হামলা

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের প্রাণকেন্দ্র রাজধানী তেলআবিবে রকেট নিক্ষেপ করে। দু’টি রকেট মার্কিন দূতাবাস থেকে মাত্র ২ শ’ মিটার দূরে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানে। হামাসের রকেট হামলায় তেলআবিবে হূলুস্থ্থূল পড়ে যায়। শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো সাইরেন বেজে উঠে। ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর এই প্রথম তেলআবিবে বিমান আক্রমণের সতর্ক সংকেত সাইরেন বেজে উঠলো। গত বৃহস্পতিবারও তেলআবিবে রকেট হামলা চালানো হয়। শুক্রবার বিকেলে রকেট হামলা হওয়ায় তেলআবিবের পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের সকল সরকারি বোমা নিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আল-জাজিরার খবরে একথা বলা হয়।

ইসরাইল গাজা সীমান্ত বরাবর ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করেছে এবং কাল শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র আগামী দু’মাসের মধ্যে মোতায়েন করার কথা ছিল। কিন্তু হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত রকেট ধ্বংসে সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, তারা গাজায় স্থল অভিযানসহ সকল বিকল্প নিয়ে ভাবছেন।

গাজায় চলমান ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সাংকেতিক নাম ‘অপারেশন পিলার অব ডিফেন্স।’ তেলআবিবে রকেট হামলার পর ইসরাইলি বিমান বাহিনী ১০ মিনিটের মধ্যে গাজায় ১২ দফা বোমাবর্ষণ করে। গত বুধবার থেকে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলে সাড়ে তিন শ’ রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এশকাল অঞ্চলে একটি রকেট হামলায় তিনজন ইসরাইলি সৈন্য আহত হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত গাজায় ৫ শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ঘন ঘন ইসরাইলি বিমান হামলার মুখে মিসরীয় প্রধানমন্ত্রী হাশেম কান্দিল শুক্রবার গাজা সফর করেছেন। গাজায় তাকে বিপুল সংবর্ধনা দেয়া হয়। তিনি ইসরাইলি হামলায় হতাহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। প্রধানমন্ত্রী কান্দিল ইসরাইলি আগ্রাসনের কঠোর নিন্দা করে বলেন, কায়রো উভয়পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালাবে। প্রধানমন্ত্রী কান্দিল বিপদের সময় সফরে আসায় গাজাবাসীদের মনোবল চাঙ্গা হয়ে উঠে। গাজায় তার তিন ঘণ্টার সফরকালে ইসরাইল-গাজা সীমান্ত বরাবর লড়াই অব্যাহত ছিল। যদিও ইসরাইল তার সফরকালে লড়াই বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। মিসরীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ হতে না হতে তিউনিসীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা সফরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। মিসর ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা জানিয়ে দিয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে লড়াইয়ে গাজার ফিলিস্তিনিদের তারা পরিত্যাগ করবে না।

আন্তর্জাতিক