1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

দেশবাসীকে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নীল নকশার ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১২
  • ৭১ Time View
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায় তাদের নীল নকশার ব্যাপারে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভন্ডুল করতে চায়। কিন্তু আমি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।’
আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যতই অপতৎপরতা চালানো হোক না কেন দেশের মানুষ সজাগ থাকলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কিছুই করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে স্বাবলম্বি করে একটি আত্মমর্যাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাথা উঁচু রেখে দেশকে বিশ্ব মঞ্চে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে বর্তমান সরকারে নীতি। আমরা বিশ্বে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাই না।
তিনি সীমিত সম্পদের যথাযথ ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রযুক্তি হচ্ছে দিন বদলের প্রধান হাতিয়ার। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার ও উৎকর্ষতার মাধ্যমে উন্নয়নের কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম।’
দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডের প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় প্রকৌশলীদের মাধ্যমে উলে¬খ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা, মিল-কারখানা, যন্ত্রপাতি সবকিছুর নির্মাণ ও স্থাপনের দায়িত্ব আপনাদের। কাজেই আপনাদের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আগামীতে দেশ কতটা দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।’
প্রকৌশলীরা দেশের মেধাবী সন্তান উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে মা-বাবার পাশাপাশি রাষ্ট্র অর্থাৎ দেশের জনগণেরও প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এজন্য প্রকৌশলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আপনাদের এখন এর প্রতিদান দেওয়ার সময়।’
তিনি প্রবৃদ্ধি অব্যহত রাখতে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো সক্রিয় হতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপর গুর্ত্বুারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ব্যাপারে উন্নত দেশগুলো আমাদের সহায়তা দিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সহায়তার আশায় বসে না থেকে আমাদেরকেই টেকসই সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মনোযোগী হতে হবে।’
দেশীয় এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৌশলীদের সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সফটওয়ার এবং তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা রফতানিতে এদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে তাঁর সরকার আইসিটি আইন সংশোধন, আইসিটি নীতিমালা প্রণয়ন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন করেছে একথা উল্লেখ করে তিনি সরকারের দেয়া এসব সুবিধা কাজে লাগাতে প্রকৌশলীদের পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে তাঁর সরকার আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বিগত ৪ বছরে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে তাঁর সরকারের অর্জিত বিভিন্ন সাফল্যের উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে তাঁর সরকারের গত মেয়াদে ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি)’র সদর দফতরের জন্য ১০ বিঘা এবং দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ স্থাপনে ৭২ বিঘা জমি প্রদানের পাশাপাশি এ কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু করতে ২৩ কোটি টাকা দেয়।
তিনি বলেন, তাঁর বর্তমান সরকারের আমলে আইইবি ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের জন্য ২৩ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামানও বক্তৃতা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ