1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড নিক্ষেপ, স্ট্রোক করলেন আইনপ্রণেতা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ২৭ Time View

অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টের ভেতরে এক বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেখানে স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে হামলা চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের ভেতরে বিরোধী দলের সদস্যরা ধোঁয়াটে গ্রেনেড ছুড়ে মারলে কমপক্ষে তিনজন সার্বিয়ান এমপি আহত হন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং শিক্ষার্থীদের সমর্থনে এমন হামলা চালান দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা।

লাইভ টেলিভিশনে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে এবং ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত চার মাস ধরে উত্তপ্ত সার্বিয়া। প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কয়েকবার আন্দোলনে নামে দেশটির শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। চার মাস আগে রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জনের মৃত্যুর পর শুরু হয় এই বিক্ষোভ, যা এখন আরো বৃহৎ আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
এই বিক্ষোভ সার্বিয়ান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

এদিকে স্পিকার আনা ব্রনাবিচ বলেন, দুই আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন হামলায়। এর মধ্যে একজন এসএনএস পার্টির জাসমিনা ওব্রাদোভিচ স্ট্রোক করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। পার্লামেন্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং সার্বিয়াকে রক্ষা করবেন বলে জানান তিনি।

পার্লামেন্টের মেঝেতে ঝুলন্ত একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সার্বিয়া শাসনব্যবস্থার পতনের জন্য জেগে উঠছে’। অধিবেশন চলাকালীন ক্ষমতাসীন জোটের রাজনীতিবিদরা আলোচনা করলেও, বিরোধী এমপিরা শিস বাজাচ্ছিলেন এবং শিঙা বাজাচ্ছিলেন। বিরোধী এমপিরা ‘সাধারণ ধর্মঘট; এবং ‘হত্যার জন্য ন্যায়বিচার’ লেখা সাইনবোর্ডও উঁচিয়ে ধরেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিয়ান পার্লামেন্টে কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন করে প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট, তা অনুমোদনও হয়। এর পরেই এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিরোধীদলীয় জোট।
কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ তাদের আসন ছেড়ে স্পিকারের দিকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

তুমুল হট্টগোল শুরু হয় পার্লামেন্ট ভবনে। একপর্যায়ে পার্লামেন্টের ভেতরে স্মোক গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন বিরোধী দলের সদস্যরা। যার ফলে পার্লামেন্টের ভেতরে কালো ও গোলাপি ধোঁয়া দেখা যায়। ধস্তাধস্তিতে আহত হয় দুই সংসদ সদস্য। এর আগেও ১৯৯০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরুর পর থেকেই মারামারি এবং পানি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র : বিবিসি, সিএনএন

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ